‘নিজেকে খুব কর্মক্ষম ও আশীর্বাদপুষ্ট মনে হচ্ছে’

‘আলাদিন’ দিয়ে বলিউডে যাত্রা শুরু করেন জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। এর পর বেশ কিছু সিনেমাতে অভিনয় করলেও খুব একটা সফল হতে পারেননি। তা ছাড়া শ্রীলংকান হওয়ায় হিন্দি ভাষা রপ্ত করা খুবই কঠিন হয়ে গেছিল। হঠাৎই আলাদিনের দৈত্যের মতো জ্যাকলিনের জীবনে আবির্ভাব ঘটে সালমানের। এরপরই পাল্টে যায় সব। সালমানের বিপরীতে অভিনয় করেন ‘কিক’ সিনেমাতে। আর এতে করেই বলিউডের প্রথম সারির নায়িকার সারিতে নাম লেখান জ্যাকলিন। আবারও সালমানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘রেস ৩’ নিয়ে আসন্ন ঈদে আসছেন জ্যাকলিন।

বলিউডে তার আগমনের হেতু, অভিনয় জীবন, হিন্দি ভাষা শেখার চ্যালেঞ্জ এবং ‘রেস ৩’ নিয়ে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জ্যাকলিন। পাঠকদের জন্য সেই সাক্ষাৎকারটির অনুবাদ তুলে ধরা হলো :

প্রশ্ন : হিন্দি শেখার পাশাপাশি আপনি নাকি উর্দুও শিখছেন?

জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ : হ্যাঁ, আমি উর্দু শিখছি। এটা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আমি প্রথম পড়তে ও লিখতে শিখছি। এরপর আমি উর্দু বলা শিখব। উর্দুতে উচ্চারণটা সঠিক হতে হয়। নির্দিষ্ট কিছু উর্দু শব্দ রয়েছে, যা খুবই কঠিন। উর্দু পড়তে পারা ও লিখতে পারা আমার বলাটাকে সহজ করবে।

প্রশ্ন : সেলিম খান (সালমান খানের বাবা) আপনার উর্দু শেখা নিয়ে কী বললেন?

জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ : ও। তিনি আমাকে বলেছেন, তুমি প্রথমে হিন্দি ঠিকমতো শিখে নাও, পরে উর্দু শেখার চেষ্টা করো।

প্রশ্ন : কাশ্মীরে শুটিং করে আপনার কেমন লেগেছে?

জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ : কাশ্মীর আমার কাছে শুটিংয়ের প্রিয় একটি জায়গা। ‘রেস ৩’ ছবির শুটিং করার সময় সালমান এবং আমি তুষারের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়েছি। লাদাখের রাস্তায় বাইকে করে সীমান্তের খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লেগেছিল বাইকে করে সীমান্তে যেতে।

প্রশ্ন : নিজের স্টাইল নিয়ে আপনার বক্তব্য কী? সালমান ও অনিলের স্টাইল নিয়ে আপনি কী বলবেন?

জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ : সত্যি বলতে, আমার নিজের স্টাইল নিয়ে আলাদা কোনো বক্তব্য নেই। আমার স্টাইল হচ্ছে, যা পরে তোমাকে ভালো দেখায়, সেটাই স্টাইল। সিনেমাতে সালমানের স্টাইল আর বাস্তবে সালমানের স্টাইল আলাদা এবং অন্য রকম। আমাদের মধ্যে কেউই তার সমকক্ষ হতে পারবে না। অনিল কাপুরের স্টাইল, বিশেষ করে ‘রেস ৩’ ছবিতে ছিল বেশ তীক্ষ্ণ এবং তাকে খুবই সুদর্শন দেখা গেছে। কারণ, তার মেয়ে রেহা খুবই মেধাবী একজন ডিজাইনার। সে তার ডিজাইনের খুঁটিনাটি দিকগুলো দেখেছে।

প্রশ্ন : পেছনে ফিরে তাকালে বলিউডে আপনার সফরটা কেমন ছিল?

জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ : আমি মনে করি, বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে আমার সফরটা ধীর এবং স্থির ছিল। প্রতিটি ছবি দিয়ে আমি একটি একটি করে ধাপ পার হয়েছি। আমার মনে আছে, এমন কিছু সিনেমাতে আমি কাজ করেছিলাম, যা ভালো ছিল না। আজকে আমি নিয়মিত এমন সিনেমাতে কাজ করে যাচ্ছি, যা করতে পেরে আমি ভালো অনুভব করছি। নিজেকে খুব কর্মক্ষম ও আশীর্বাদপুষ্ট মনে হচ্ছে। যদি তুমি কোনো কিছুর যোগ্য হও, তুমি সেটা পাবেই। আর তুমি যদি না হও, তাহলে সেটা তোমার কাছে আসবে না। আমি আসলেই আমার বলিউড সফর নিয়ে খুশি।

প্রশ্ন : আপনি বলিউডে কেন এলেন?

জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ : কান চলচ্চিত্র উৎসবে আমি প্রথম ‘দেবদাস’ সিনেমাটি দেখি। আমি বাসায় ফিরে আসি এবং একটি ডিভিডি কিনে ছবিটি আবার দেখি। আমার ছবিটিকে অবিশ্বাস্য লেগেছে। ছবির সব অভিনেতা-অভিনেত্রীকে অসাধারণ লাগছিল এবং তাদের অভিনয়ও ছিল দুর্দান্ত। এরপর আমি ‘ব্ল্যাক’ নামের সঞ্জয় লীলার (সঞ্জয় লীলা বানসালি) আরো একটি ছবি দেখলাম এবং এটা খুবই আবেগধর্মী এবং ‘দেবদাস’ থেকে আলাদা ছিল। সঞ্জয়ের দুটি ছবি দেখার পর আমি সিদ্ধান্ত নিই ভারতে আসার এবং তার সঙ্গে কাজ করার। আমার স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি।

সূত্র : ডেকান ক্রনিকেলস

এসএ/