ঢাকা, রবিবার   ১২ মে ২০২৪

বিশ্ব ক্যান্সার দিবস আজ

মিনালা দিবা

প্রকাশিত : ০৯:০২, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

চলছি, ফিরছি, খাচ্ছি- অথচ অজান্তেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে মরণ ব্যাধি ক্যান্সার। শুরুতে রোগ নির্ণয় হলে চিকিৎসায় সুফল মিলে। দেরি হতে থাকলে আশা কমে। অথচ, দেশে এই ক্যান্সার চিকিৎসার সুযোগ অপ্রতুল। একমাত্র প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটে বছরে ২৮ হাজার রোগী প্রায় ২ লাখ বার চিকিৎসার সুযোগ পায়। আর, বেসরকারী খাতে খরচ সামলানোর সামর্থ্য নেই, মধ্যবিত্তের সাধ্যে। এমন বাস্তবতায়, আজ পালিত হচ্ছে, বিশ্ব ক্যান্সার দিবস।

ডাক্তারের শরণাপন্ন হবার আগে রোগের কথা জানতেই পারেননি গৃহিণী মিনা। যখন বার্তা এলো, বোধোদয় হলো- ততক্ষণে শরীরে অনেকটা জায়গা নিয়ে নিয়েছে, নিরব ঘাতক ক্যান্সার। গাড়িচালক স্বামী ধার-দেনা আর জমি বিক্রি করলেন ঠিকই কিন্তু সুফল মিলছে না। 

ক্যান্সারের মরণছোবলে এভাবে সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হবার গল্প হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে। এই যেমন আব্দুল্লাহ ও তারেকের গল্পটাও এমন। তাদের জীবনও শেষ, পরিবারের বিপর্যয়ও সমাগত। 

শহর কিংবা গ্রাম- কোন বিষয় নয়। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন আর ভেজাল খাবারই যে ঝরিয়ে দিচ্ছে সম্ভাবনাময় কত কত প্রাণ। আর এ যে কত বড় ক্ষতি তা শুধু ভুক্তভোগী পরিবার মাত্রই বোঝে। 

ক্যান্সারের চিকিৎসাও একেবারে সহজলভ্য নয়। একটি শয্যার নাগাল পেতে দিনের পর দিন লেগে যায় সরকারি হাসপাতালে। 

হাসপাতালগুলোতে শুধু নাই আর নাই। রেডিও থেরাপির যন্ত্রপাতি নাই, যাও আছে তা পর্যাপ্ত নয়। বাইরে থেকে যেসব চিকিৎসা উপকরণ কিনতে হয়, তা যেন হাতির খোরাক যোগানোর মতই। 

বুঝে না বুঝেই আমরা নিজের সর্বনাশ ডেকে আনি। দিন শেষে মানব শরীর তো এই প্রকৃতিরই অংশ। নিয়মের বাইরে গেলেই এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া শরীরে দেখা দেয়। তৈরি হয় ক্যান্সারের মত ব্যাধী। 

চিকিৎসক ও গবেষকদের মত হলো, মানুষকে নিয়মের অধীনে ফিরতে হবে। মানতে হবে দেহঘড়ি’র আদেশ-নিষেধ। 

এবারের বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের প্রতিপাদ্য- ক্লোজ দ্য কেয়ার গ্যাপ।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি