ঢাকা, রবিবার   ১১ মে ২০২৫

কারারক্ষী পদে নিয়োগ অনিয়মে কী ব্যবস্থা, জানতে চান হাইকোর্ট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:১০, ৯ নভেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৪:২৮, ৯ নভেম্বর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

কারারক্ষী পদে নিয়োগ ও বদলিতে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এক মাসের মধ্যে কারা মহাপরিদর্শককে প্রতিবেদন আকারে বিষয়টি জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার এক রিট মামলার প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে রুল জারি করে আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের জবাব দিতে বলেছে।

আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

‘চাকরি ফিরে পেতে চান কুলাউড়ার জহিরুল: জালিয়াতি করে কারারক্ষী পদে চাকরি ১৮ বছর পর তদন্তে প্রমাণিত!’ শিরোনামে দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে এই রিট আবেদন করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য ২০০৩ সালে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন কুলাউড়ার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম এশু। নিয়োগে উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনও হয়েছিল। কিন্তু পরে আর যোগদানপত্র না পাওয়ায় চাকরির আশা ছেড়ে শহরে ব্যবসা শুরু করেন।

কিন্তু দীর্ঘ ১৮ বছর পর তিনি জানতে পারেন, প্রতারণার মাধ্যমে তার নাম পরিচয় ব্যবহার করে ওই পদে চাকরি করছেন আরেকজন। পরে তদন্তে ওই জালিয়াতির সত্যতাও পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার এজি মাহমুদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল সুপার ইকবাল হোসেনের তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে।

বুধবার আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, রিটকারী তার চাকরি ফেরত চেয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদন করেছিলেন। দুই মাসের মধ্যে সেটি নিষ্পত্তি করতে আদালত কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।


এসএ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি