নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত কমিশন: সিইসি

নির্বাচনের জন্য কমিশন প্রস্তুত আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নুরুল হুদা। বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে নির্বাচন কমিশন ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুই প্রতিনিধির সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন সিইসি।

সিইসি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত নয়। তবে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। আর জাতীয় নির্বাচনের আগে ৯০ দিন সময় পাওয়া যায়। সে জন্য কমিশনের যে কাজ টুকু বাকী আছে, তা আগামী সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। প্রত্যেক জাতীয় নির্বাচনেই সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকে—এটা একটা বাস্তবতা। কিন্তু আমরা কমিশন এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। অনেক সময় আছে। এত তাড়াতাড়ি আপনারা এই সিদ্ধান্ত চান কেন? অনেক সময় আছে। এখনো এক বছরের বেশি সময় আছে সেই অবস্থানে পৌঁছাতে। এত আগে তো সেই সিদ্ধান্ত দেওয়া যাবে না। সময়মতো সেনা মোতায়েনের বিষয়ে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। তারা জানতে চেয়েছে নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে কী না? সে বিষয়ে জানানো হবে বলে তাদের আস্বস্ত করা হয়েছে।

সাক্ষাতের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুই সদস্যের প্রধান রেনজো তারেঙ্ক বলেন, আমরা গত এক মাস আগে বাংলাদেশে এসেছি। এরই মধ্যে সরকারের বিভিন্ন  মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে কথা বলেছি। যেহেতু নির্বাচন কমিশন সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান তাই এখানে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য এসেছি। আমরা বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আশা ব্যক্ত করেছি। কমিশন আমাদের সে ব্যাপারে আশ্বস্থ্য করেছে।

বাংলাদেশ নির্বাচনী পরিবেশ কেমন দেখছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রেনজো তারেঙ্ক বলেন, আমরা মাত্র এক মাস হয় এসেছি। এতোটুকু সময়ে  যা দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে নির্বাচনী পরিবেশ ভালো আছে। তবে এ ব্যাপারে  বিস্তারিত বলার সময় এখনো আসেনি।

আরকে//এসএইচ