ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৮ মে ২০২৪

আমার পরিবার মনের দিক থেকে অসম্ভব শক্তিশালী : নুহাশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:১৭, ৪ মার্চ ২০১৮

সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ নিন্দা জানিয়েছেন। তবে এ ধরনের হামলায় যে অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও তার পরিবারকে দমাতে পারবে না সেটি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তার ভাতিজা ও প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের ছেলে নুহাশ হুমায়ূন। জাফর ইকবালের হামলার পর গতকাল রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নুহাশ জানান, যন্ত্রণা, সহিংসতা এমনকি মৃত্যুও তার পরিবারকে দমাতে পারবে না। তার পরিবার ঠিকই পৃথিবী বদলে দেওয়ার অঙ্গীকারে অটুট থাকবে।
স্ট্যাটাসের শুরুতে নুহাশ লিখেন, ‘প্রত্যেকের বেলায় এমন হয়—মোবাইল ফোনে কিংবা মেসেজে যদি খবর আসে চেনা কেউ অসুস্থ হয়েছেন তাহলেই সেই অভিজ্ঞতা হয়। তখন হাসপাতালে দেখতে যেতে হয় তাকে। সাধারণত স্বজন কিংবা পরিচিতজনের হৃদরোগ নয়তো হার্ট স্ট্রোক কিংবা অন্য যেকোনো অসুস্থতার খবর আসে আমাদের কাছে। কিন্তু এটা তেমন নয়। আজ হামলার শিকার হয়েছেন আমার পরিবারের কেউ।’
তার লেখায়, ‘আমার কাছে এটি রাজনীতি, নৈতিকতা কিংবা আদর্শ; কোনো কিছুই নয়। এটি একটি পরিবার। দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আমার পরিবার মনের দিক দিয়ে অসম্ভব শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত। যন্ত্রণা, সহিংসতা কিংবা মৃত্যু— যা কিছুই ঘটুক না কেন, আমার পরিবার পৃথিবী বদলে দেওয়ার পথে ঠিকই এগিয়ে যাবে। দেখতে থাকুন।’


তবে হামলার পর টিভি চ্যানেলগুলোর লাইভ নিয়ে কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মুহাম্মদ জাফর ইকবালের এই ভাতিজা। এ বিষয়ে তিনি লিখেছেন, ‘তাকে (মুহাম্মদ জাফর ইকবাল) জরুরি বিভাগে নেওয়াসহ তখনকার মুহূর্তগুলো দেশের টিভি চ্যানেলগুলো সরাসরি দেখিয়েছে হলিউডের অ্যাকশন ছবির মতো! আমার নিউজফিড ভরে গেছে সবার চিন্তাভাবনা আর প্রার্থনায়।’
চারপাশে যারা থাকেন তাদের কাছে এই দেশ নিরাপদ মনে হবে, এটাই নুহাশের চাওয়া। স্ট্যাটাসে একথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। কিন্তু এটা যে বাস্তবতা নয় তাও জানেন তিনি।
শনিবার বিকালে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠান চলাকালে ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলায় চালায় এক তরুণ। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ওসমানী হাসপাতাল ও পরে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।
/ এআর /


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি