এমপিরা সিটি নির্বাচনে প্রচারণা চালাতে পারবেন
প্রকাশিত : ১৫:২৬, ৫ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১০:৩৭, ৬ জুন ২০১৮
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শুধু সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যদের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা রেখে আচরণবিধি সংশোধনের প্রস্তাবনা আইনটি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার ইসি সচিবালয়ের আইন শাখার যুগ্মসচিব সেলিম মিয়া বলেন, “আমরা প্রয়োজনীয় সব কিছু প্রস্তুত করে দিয়েছি। ডেসপ্যাচের মাধ্যমেই তা আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।”
জানতে চাইলে ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা জানান, এ সংক্রান্ত ‘সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) (সংশোধন) বিধিমালা, ২০১৮’ মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের জন্য সকালে পাঠানো হয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংসদ সংসদের ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’র তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিধির ২ (১৩) এ সংজ্ঞায় এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাতে সব সাংসদদের প্রচারণার সুযোগ উন্মুক্ত হয়ে যায়। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের পর বিধির ২২ ধারায় ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারির নির্বাচনী প্রচারণা এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত বাধা-নিষেধ’ এ নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট এলাকার (সিটি করপোরেশন) সংসদ সদস্যরা নির্বাচনপূর্ব সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে প্রচারণা চালাতে পারবেন না ও সরকারি সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন না।
এক্ষেত্রে সিটি নির্বাচনী এলাকার বাইরের এমপিদের ভোটের প্রচারে নামতে কোনো বাধা থাকবে না বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। এমপিদের স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে প্রচারণায় সুযোগ করে দেওয়ায় সমালোচনার মুখে একধাপ পিছিয়ে শুধু স্থানীয় এমপিদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইসি।
আগামী ২৬ জুন গাজীপুরে এবং ৩০ জুলাই বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী সিটিতে ভোট রয়েছে। গাজীপুরে সম্ভব না হলেও নতুন সংশোধিত আচরণবিধি পরবর্তী ৩ সিটি নির্বাচনে কার্যকর হতে পারে বলেও জানায় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
আইন মন্ত্রণালয় ইসির প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ‘ভেটিং’ এ ভিন্নমত পোষণা করলে বা ইসির কাছে পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠাতে বিধি সংশোধন বিলম্ব হতে পারে। কিন্তু দ্রুততার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের মতামত ও সম্মতি পেলেই ইসি তা গেজেট আকারে প্রকাশের অনুমোদন দেবে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।
টিআর/
আরও পড়ুন