ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪

উন্নয়ন সংস্থাগুলো চায় না রোহিঙ্গারা ফিরে যাক: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৮:৪৯, ৯ জুন ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন দেশের সংস্থাগুলো চায় না রোহিঙ্গারা ফিরে যাক। তারা রোহিঙ্গাদের ইন্ধন দেয়। রোববার গণভবনে ত্রিদেশীয় সফর পরবর্তি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো চায় না যে, রোহিঙ্গারা ফিরে যাক। এতে তারা লাভবান হচ্ছে। রোহিঙ্গারা ফিরে গেলে তাদের ফান্ড বন্ধ হয়ে যাবে এবং অনেকে চাকরি হরাবে এ জন্য রোহিঙ্গাদের ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে। আমরা এক সময় রোহিঙ্গাদের তালিকা করলাম, ফেরত পাঠানো ব্যবস্থা করলাম পরে কিন্তু দেখি তারা আন্দোলন করছে। তারা দেশে ফিরে যাবে না।

দেশে ফিরে যেতে তাদের নাকি ভয় করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা সত্য যে, তারা মিয়ানমারের ফিরে যেতে ভয় পায়। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে সে দেশের রাখাইন রাজ্য ঘুরে আসা হয়েছে। পরিস্থিতি জেনে তবেই না ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু উন্নয়ন সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছে।

রোহিঙ্গারাও দেশে ফিরে যেতে চায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গারাও দেশে ফিরে যেতে চান। কে নিজ দেশে ফিরতে চায় না? কিন্তু অসুবিধাটা হলো মিয়ানমারকে নিয়ে। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে চায় না।’ তবে রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণভাবে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকার কাজ করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

১২ দিনের সরকারি সফরের বিষয়ে দেশবাসীকে অবহিত করতে রোববার বিকেল ৫টার কিছু পরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (৮ জুন) সকালে দেশে ফেরেন। তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট শনিবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কি থেকে কাতার এয়ারলাইনসের একটি বিমান স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহার উদ্দেশে হেলসিঙ্কি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

বিমানটি কাতারের স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে দোহা হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দোহায় যাত্রা বিরতির পর প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে শনিবার ভোরে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন।

এই সফরে ২৮ মে জাপানের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। টোকিওতে ‘দ্য ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে যোগ দেয়ার পাশাপাশি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর সফরে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য জাপানের সঙ্গে আড়াইশ কোটি ডলারের উন্নয়ন সহায়তা চুক্তি হয়।

জাপান সফর শেষে ওআইসির চতুর্দশ সম্মেলনে যোগ দিতে ৩০ মে শেখ হাসিনা সৌদি আরবে যান। সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর ওমরাহ পালন করেন তিনি, জিয়ারত করেন মহানবীর (স.) রওজা। সৌদি আরব থেকে গত ৩ জুন ফিনল্যান্ড যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী।

এমএস/আরকে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি