ঢাকা, সোমবার   ০৩ জুন ২০২৪

‘ওষুধের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ কোথায় লেখা থাকে সেটাই জানি না’

প্রকাশিত : ২০:২৬, ২০ জুন ২০১৯ | আপডেট: ২০:২৯, ২০ জুন ২০১৯

‘আগামী এক মাসের মধ্যে বাজারে থাকা সব মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করতে হবে’ গত মঙ্গলবার আদালতের দেয়া এমন নির্দেশের পর দেশব্যাপী চলছে অভিযান। দেশের ৯৩% ওষুধের দোকানগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে এমন খবর প্রকাশিত হলে গত বুধবার আদালত এ নির্দেশ দেন।

পাশাপাশি আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওষুধ বিক্রেতা, সরবরাহকারী ও সংরক্ষণকারীদের শনাক্ত করার জন্যেও কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নিতে হবে।  কিন্তু ওষুধ কেনার ব্যাপারে সাধারণ মানুষ আসলে কতটা সচেতন তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ। বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সে তথ্য। যেখানে সাধারণ ভোক্তাদের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করা হয়েছে।  

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে অনেকে যেমন মেয়াদ দেখে ওষুধ কেনার কথা জানিয়েছেন, আবার অনেকে অকপটে স্বীকার করেছেন মেয়াদ না দেখে কেনার কথা। আবার ওষুধের মেয়াদ কোথায় থাকে, মেয়াদের লেখার টাইপ বা কিভাবে সেটা দেখা যায় সেই বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন অনেকে।

শহিদুল ইসলাম নামে একজন জানান, "ওষুধের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ কোথায় লেখা থাকে সেটাই তো জানি না"। "বাংলাদেশের অনেকেই জানেন না ট্যাবলেটের পাতায় কোথায় মেয়াদ দেয়া থাকে" লিখেছেন রায়সুল ইসলাম রাজু।

জারিন তাসনিম নামে এক নারী লিখেছেন, "কোর্ট কীভাবে বুঝলো ৯৩% দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করে?" মো: সজিব হোসেন নামে একজন ওষুধের মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে লিখেছেন "লোকাল দোকানদাররা তো অল্প কিছু পাতা কিনে একই প্যাকেটে বারবার রেখে দেয়, ঔষধের পাতার সিলটা স্পষ্ট করে দেওয়া থাকলে সুবিধা হয়, এছারাও ২-৩ টা ঔষধ নিলে তো বুঝার উপায় নেই কি দিলো"।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে চলমান নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে অভিযানগুলোতে বেরিয়ে আসছে ভয়ংকর সব তথ্য। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর সব খাদ্যের পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও বিক্রি করছেন কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী। একে কেন্দ্র করে একটি চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

সূত্র: বিবিসি  

আই/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি