শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে

সারাদেশের মধ্যে সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে শৈত্যপ্রবাহের অবস্থা থাকার কথা না থাকলেও রাজধানীসহ সারাদেশে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, কুয়াশার কারণে দেশের সব অঞ্চলে সূর্যের দেখা মিলছে না। সঙ্গে আছে হাড়ে কাঁপন ধরানো ‘সাইবেরিয়ান বাতাস।’ দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান কমে তীব্র শীত বিপর্যস্ত করে তুলছে জনজীবন। এই অবস্থা আরও দুই থেকে তিন দিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের অধিকাংশ অঞ্চলে বিকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে। 

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। 

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। 

ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর দিকে বয়ে যাচ্ছে। রোববার সন্ধ্যায় ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। আজ সোমবার ঢাকায় সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ৪৪ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ৩১ মিনিটে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা বা ৩ দিনের শেষের দিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। 
 
গতকাল রোববার দেশের কোথাও কোন বৃষ্টিপাত হয়নি। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারের টেকনাফে ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোনিম্ন ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এমএস/