ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ আগস্ট ২০২৫

ইমো ক্লোন করে প্রতারণা, আটক ২

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৫, ১৪ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১০:৪৫, ১৫ আগস্ট ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপস `ইমো`র মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। আটক ব্যক্তিরা `ইমো` র মাধ্যমে স্পর্শকাতর ছবি, অর্থ আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত বিকাশ নম্বর এবং কারো কারো অফিসিয়াল তথ্য হাতিয়ে নিয়ে পরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইল করত বলে জানিয়েছে র‍্যাব। খবর : বিবিসি বাংলা।

কিন্তু একজনের অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য একজন কিভাবে তথ্য হাতিয়ে নেয়?এমন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব ৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, কারো মোবাইলে সমস্যা হলে, কিংবা মোবাইলে কোনো অডিও বা ভিডিও কনটেন্ট লোড করতে হলে মানুষ আশেপাশের কোনো মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে যায়। তখন দোকানদার একটা ‘ইমো’ অ্যাকাউন্ট খোলে নিজের মোবাইলে, কিন্তু এক্ষেত্রে মোবাইল নম্বর দেয় সেবা নিতে আসা ব্যক্তির।

এরপর ঐ অ্যাকাউন্টের বিপরীতে একটা ‘ইমো’ কোড আসে গ্রাহকের নম্বরে। তখন দোকানদার সেটা কনফার্ম করে দিয়ে ‘ইমো’ অ্যাকাউন্ট চালু করে ফেলে। তখন ওই গ্রাহকের মোবাইলে কোনো ইমো থাকলে, সেটির একটি মিরর বা ক্লোন তৈরি হয় দোকানদারের মোবাইলে। কিন্তু গ্রাহকের মোবাইল থেকে ‘ইমো’ সংশ্লিষ্ট মেসেজ বা বার্তাটি মুছে দেয় দোকানদার।

তিনি বলেন, এরপর ওই গ্রাহক যখন-ই ইমোতে কোনো বার্তা বা ছবি আদানপ্রদান করবেন, তখনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি ওই দোকানদারের ইমোতে চলে যায়। এভাবেই ওই গ্রাহকের অজান্তেই তার ব্যক্তিগত এবং স্পর্শকাতর তথ্য পাচার হয়ে যায়।

র‌্যাবের লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, প্রতারকরা এরপর ওই অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরেই, তার অন্য বন্ধুদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে, আরো অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। এছাড়াও প্রবাসী কেউ যখন বিদেশ থেকে পরিবার বা আত্মীয় কাউকে অর্থ পাঠাবেন, তখন এ প্রান্ত থেকে পাঠানো বিকাশ নম্বরটি মুছে প্রতারকেরা অন্য নম্বর বসিয়ে দেয়। ফলে ওই প্রান্ত থেকে টাকা পাঠানো হয় ভিন্ন বিকাশ নম্বরে। এভাবে ব্যক্তিগত আলাপচারিতার রেকর্ড, ছবি এবং অর্থ হাতিয়ে নেবার পর, প্রতারকেরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইল করত।

মাসুদ বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগে ঢাকার একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে এ ধরণের একটি অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে র‍্যাব। এক পর্যায়ে দেখা যায়, এ কাজে বিশেষ এক শ্রেণি অর্থাৎ পরিবার বিদেশে থাকে, নারী, বিকাশের মাধ্যমে অর্থ আদান প্রদান করেন এবং ‘ইমো’ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে তথ্য বিনিময় করেন, তারা এই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বেশি। মাসুদ জানান, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে শতাধিক নারীর ব্যক্তিগত ছবি উদ্ধার করা হয়েছে।

আরকে/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি