ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

শিশু প্রহর শুধুই শিশুদের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৫৬, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২২:২৫, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

অমর একুশে গ্রন্থ মেলার শিশু প্রহর শুধুমাত্র শিশুদের। ছোট ছোট শিশুদের হাসি, উল্লাস, দৌড়াদৌড়ি, খুনসুটি, আবদার, মান-অভিমান, বড়দের সঙ্গে আঁড়ি, ঝগড়া, কান্না, লাফালাফি-সব কিছুর মধ্যে দিয়ে জমে উঠেছে অমর একুশে গ্রন্থমেলার ১৬ মত দিন, একই সঙ্গে পঞ্চম শিশু প্রহর।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা কর্তৃপক্ষ সপ্তাহর দু’দিন শুক্র ও শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শুধু শিশুদের জন্য মেলার সময় বরাদ্দ করেছে। আর এ সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগাচ্ছেন অভিভাবকরা।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে গ্রন্থ মেলার গেটে অসংখ্য শিশুরা অপেক্ষা করছিলো। গেট খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবকদের হাতে ধরে মেলাতে আসতে শুরু করে তারা। অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ একটু বেশি ভীড় লক্ষ করা গেছে।

বেলা ১২টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। প্রায় প্রত্যেক অভিভাবকের সঙ্গে রয়েঠে একজন-দু’জন শিশু।

বাবা মায়ের হাত ধরে বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে বই দেখছে শিশুরা। এক একটি স্টলে ঢুকে রঙবেরঙের বই নেড়ে চেড়ে দেখছে তারা। কিনে নিচ্ছে পছন্দের বইটি।

ছোটোবেলা থেকেই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সন্তানদের নিয়ে মেলায় আসা বলে জানালেন অভিভাবকরা।

মেলাতে আসা সরকারি চাকরিজীবী আশিক আহমেদ বলেন, শিশুরা একসময় বিদগ্ধ পাঠক হবে, হবে লেখক। হাল ধরবে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশের। তাই তাদের বই মেলায় নিয়ে আসছি। মেলাতে পরিচিত হচ্ছে বিভিন্ন লেখকের সাথে। শিশুদের বই মেলায় নিয়ে আসা সকল অভিভাবকের কর্তব্য বলে আমি মনে করি।

ধানমন্ডি থেকে মা শারমিন রহমানের সঙ্গে এসেছিল আশফি। কী বই কিনলে—এ প্রশ্নের জবাবে ফোকলা দাঁতের হাসি হেসে বলল, ‘আমি টম এন্ড জেরি, মীনা, ভূতের গল্প, পরির গল্প, রাক্ষস-খোক্কসের গল্প…। এভাবে একের পর এক বইয়ের নাম বলতেই থাকল। এ সময় পাশে থাকা তার মা ইয়াসমিন নাহারের হাসিমুখ বুঝিয়ে দিচ্ছিল যে নিজের বাচ্চাকে এ বইয়ের মেলায় নিতে আসতে পেরে তিনি বেশ আনন্দিত।

গত কয়েক বছর ধরে বই কেনার আনন্দের সঙ্গে শিশুদের জন্য যোগ হয়েছে সিসিমপুর। শিশু প্রহরগুলোতে মেলায় আসা শিশুরা এ সিসিমপুর নিয়েই মেতে আছে।

টিআর/

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি