অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তুরিন আফরোজকে অপসারণ : আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অপসারণ করা হয়েছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, অপরাধীর সঙ্গে তিনি যে কথা বলেছেন তার রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। সেখানে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তুরিন আফরোজের গলা প্রমাণিত হওয়ায় আমরা তাকে অপসারণ করেছি।

সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে অনেক নিউজ হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে, তিনি একজন আসামির সঙ্গে (যেই মামলা তিনি নিজেই করছিলেন) আলাপ-আলোচনা করতে গিয়েছিলেন। একই সঙ্গে আলাপ-আলোচনার সময় তিনি এও বলেছিলেন যে, এ মামলার কোনো সারবর্তা (ম্যারিট) নেই।’

তিনি বলেন, ‘তাদের কথোপকথনের রেকর্ড আমাদের কাছে পাঠানো হয়। আমরা এটা নিয়ে সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেছি। একই সঙ্গে উনার (তুরিন আফরোজ) যতটুকু কথা বলা প্রয়োজন মনে করেছি, কথা হয়েছিল। কিন্তু যেই সাক্ষ্য-প্রমাণ আছে সেগুলো অল আর ডকুমেন্ট্রি। সে জন্য আমরা এ সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে অব্যাহতি দিয়েছি।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘রেকর্ডকৃত কথোপকথনে তার (তুরিন আফরোজ) দিক থেকে যেসব কথা বলা হয়েছে এবং যেটা তার গলা বলে প্রমাণিত হয়েছে, এটা উনি কেন করলেন সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। তবে এটুকু বলবো এটা দুঃখজনক। কাজেই আমি যে খুব খুশি হয়ে অপসারণ করেছি  তা না।’

উল্লেখ্য মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং পাসপোর্ট অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হককে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

জানা যায়, প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ ওই আসামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ রয়েছে জানিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে বলেন। এ বিষয়ে ওয়াহিদুল হকের কাছে প্রসিকিউটর তুরিন মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করেন।

আরও জানা যায়, ওয়াহিদুল হককে গ্রেফতারের আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে তুরিন আফরোজ প্রথমে তাকে টেলিফোন করে দেখা করার সময় চান। এরপর গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে গোপন বৈঠকও করেন তিনি।

এ-সংক্রান্ত দুটি অডিও রেকর্ড পুলিশের মাধ্যমে তদন্ত সংস্থার হাতে এলে তা ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরকে হস্তান্তর করা হয়। অডিও রেকর্ড দুটি ওয়াহিদুল হক গ্রেফতার হওয়ার পর তার মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়।

এসি