ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

অমরশিল্পী আব্বাসউদ্দীনের ৬১তম প্রয়াণ দিবস আজ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৭, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

ভাওয়াইয়া গানের সম্রাট আব্বাসউদ্দীন আহমেদ। সমান দক্ষতায় তিনি উপস্থাপন করেছেন জারি-সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদী, মর্সিয়া, পালাগানসহ লোকসঙ্গীতের নানা ধারা। সুর সৃজন ও স্বকন্ঠে উপস্থাপন করেছেন সঙ্গীতের নানা আঙ্গিক। মৃত্যুর পাঁচ যুগ পরও তাঁর সৃজন দোলা দেয় গান পিয়াসী মানুষকে। জন্মেছিলেন অবিভক্ত বাংলার কোচবিহারে ১৯০১ সালের ২৭ অক্টোবর। অমরশিল্পী আব্বাসউদ্দীনের ৬১তম প্রয়াণ দিবস আজ।
 
‘ও কী গাড়িয়াল ভাই’, ‘তোরষা নদী উথাল পাতাল’, ‘কারবা চলে নাও’, ‘প্রেম জানে না রসিক কালাচান’, ‘মাঝি বাইয়া যাও’সহ অসংখ্য গান বাংলা গানকে রূপ-রস দিয়েছেন আব্বাসউদ্দীন আহমেদ।

১৯০১ সালে পশ্চিমবঙ্গের তুফানগঞ্জ মহকুমার বলরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই গুণী শিল্পী। বলরামপুর প্রাইমারি, পরে রাজশাহী কলেজে লেখাপড়া করেন তিনি।

কণ্ঠশিল্পী হিসাবে তাঁর খ্যাতি ভারতজুড়ে। তাঁর দরদভরা সুরে পল্লীগীতি আজও অদ্বিতীয়। কলকাতায় বসবাস করেন ১৯৩১ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত।

২০ বছর বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাহচর্যে ছিলেন আব্বাসউদ্দীন। পাশাপাশি গোলাম মোস্তাফা ও কবি জসীমউদ্‌দীনের গানও গেয়েছেন।  

১৯৪৭ সালে ঢাকা ফিরে এসে সরকারের প্রচার দফতরে চাকরি নেন। তাঁর গানে মুগ্ধ হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

আব্বাসউদ্দীনের রেকর্ড করা গানের সংখ্যা প্রায় ৭০০। অসামান্য অবদানের জন্য তিনি মরণোত্তর প্রাইড অব পারফরমেন্স, শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার এবং স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন।

লোকসঙ্গীত শিল্পী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আব্বাসউদ্দিন আহমেদ ভাওয়াইয়া জগতে একটি ইতিহাস, একটি মাইলফলক। শুধু ভাওয়াইয়া নয়, তিনি লোকগানের সব ধারায় বিচরণ করেছিলেন। আমরা তাঁর নির্মিত পথেই এগিয়ে চলেছি।

৫৮ বছরের জীবন অবসান হয় ১৯৫৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর। স্বল্প সময়ে সঙ্গীতে আব্বাসউদ্দীন যে অবদান রেখে গেছেন, তা যুগ যুগ ধরে বাঙালি স্মরণে রাখবে।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি