আদুরিকে নির্যাতনে গৃহকর্ত্রীর যাবজ্জীবন
প্রকাশিত : ১২:৩২, ১৮ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ২০:১৮, ১৮ জুলাই ২০১৭

শিশু গৃহকর্মী আদুরিকে (১১) নির্যাতন করে মৃত ভেবে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বাসার গৃহকর্ত্রী নওরীন জাহান নদীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার মঙ্গলবার এ রায় দেন।
একইসঙ্গে আদালত নদীকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন। অর্থদণ্ডের এই টাকা পাবে আদুরি। মামলার অপর আসামি নদীর মা ইসরাত জাহানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আদুরীর মা সাফিয়া বেগম। রায় ঘোষণার পর তিনি বেগম বলেন, বিচারে তাঁরা খুশি।
বাদীপক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীর ডিওএইচএস তেলের ডিপোর মাঝামাঝি রেললাইন সংলগ্ন একটি ডাস্টবিনের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় আদুরিকে। উদ্ধারের সময় তার শরীরে গরম খুন্তি ও ইস্ত্রির ছ্যাঁকা, ব্লেড দিয়ে শরীরে আঘাত, মাথায় কোপসহ অসংখ্য নির্যাতনের চিহ্ন ছিল।
প্রায় দেড় মাস আদুরিকে চিকিৎসা দেয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সুস্থ অবস্থায় যখন তাকে রিলিজ দেয়া হয় তখনও সে ভালোভাবে কথা বলতে পারত না। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে ওই বছরের ৭ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের নিজ গ্রামে ফিরে যায় আদুরি।
ওই ঘটনায় ২৬ সেপ্টেম্বর পল্লবী থানায় নওরীন জাহান নদী, তার স্বামী সাইফুল ইসলাম মাসুদ, মাসুদের ভগ্নিপতি চুন্নু মীর ও তাদের আত্মীয় রনিকে আসামি করে মামলা করা হয়। এদিনই নদীকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিট থেকে মাসুদ, চুন্নু মীর ও রনির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
আর
আরও পড়ুন