ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

আপনার ভিটামিন বি১২ ঘাটতি নেই তো? জানুন উপসর্গ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২৩, ৭ জানুয়ারি ২০২২

ভিটামিন বি হল একটি বড় পরিবার। এই বৃহৎ পরিবারের একটি অংশ হল ভিটামিন বি১২। শরীরের নানা জটিল কাজে এই ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। হজমক্রিয়া, লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি, ডিএনএ তৈরির মতো জটিল কাজে এই ভিটামিন কাজ করে থাকে।

এই ভিটামিনটি ডিম, দানাশস্য, কম ফ্যাট যুক্ত দুধ, দই, চিজ, চিকেন, স্যামন, টুনা, ট্রাউট ইত্যাদি খাবারে পাওয়া যায়। তবে মুশকিল হল, এই ভিটামিন মূলত আমিষ খাবারে থাকে। তাই নিরামিষ খাবার খাওয়া মানুষের শরীরে অনেক সময়ই এই ভিটামিনের ঘাটতি থাকে।

শরীরে ভিটামিন বি১২-এর অভাব থাকলে এই লক্ষণগুলো ফুটে ওঠে-

> রক্তাল্পতা।
> দুর্বলতা।
> শ্বাস বন্ধ হয়ে আসা।
> স্মৃতিভ্রম।
> শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারা।

শরীরে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি থাকলে আপনার মাথা এবং কানেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন শরীরে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি থাকলে এই সমস্যা দেখা যায়। বি১২ এর অভাবে হতে পারে অ্যানিমিয়াও। আর অ্যানিমিয়া থেকে হতে পারে মাথা ব্যথা ও টিনিটাসের মতো সমস্যা। টিনিটাস হল কানের সমস্যা। এই সমস্যায় কানে রিং, হিস, হুস-এই ধরনের আওয়াজ শোনা যায়। কিন্তু বাস্তবে এই আওয়াজ থাকে অনুপস্থিত। আক্রান্ত মানুষের বিরক্তির কারণ হয় এই আওয়াজ। 

এছাড়াও বি১২ ভিটামিনটির দীর্ঘদিনের অভাব ঘটলে দেখা দিতে পারে এই সমস্যাগুলি-

> মাথা ঘোরা।
> অনিয়মিত হৃদগতি।
> কাজ করার ইচ্ছে চলে যাওয়া।
> খিদে চলে যাওয়া।

শরীরে এই ভিটামিনের অভাব রয়েছে কিনা তা খুব সহজেই ধরা যায়। এক্ষেত্রে একটি মাত্র রক্ত পরীক্ষাতেই জানা যায় পরিস্থিতি। সাধারণত এই অবস্থা তেমন কোনও গুরুতর হয় না। ওষুধের মাধ্যমেই সমাধান করা যায়। তবে দীর্ঘদিন এভাবে চলতে থাকলে স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা, সুষুম্নাকাণ্ডের সমস্যা, এমনকী স্মৃতিশক্তিতেও প্রভাব পড়তে পারে। তাই প্রথম থেকেই সাবধান হয়ে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করতে হবে।

কী ভাবে হবে চিকিৎসা?

এই রোগের চিকিৎসায় এমন খাবারদাবার খেতে হবে যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২ রয়েছে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো খেতে হতে পারে এই ভিটামিনের সাপ্লিমেন্ট ওষুধ। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে প্রয়োজনে এই ভিটামিনের ইঞ্জেকশনও নিতে হয়।

তবে সবথেকে বড় কথা হল সমস্যা ধরা পড়তে হবে দ্রুত। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ এই সমস্যাকে এড়িয়ে যান। বরং চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। তাদের কথা মেনে খাবারদাবার খান। তবেই ভালো থাকবেন।

সূত্র: এই সময়
এমএম/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি