ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৫

আরও বেশি সংখ্যক পাবলিক টয়লেট স্থাপন জরুরি

প্রকাশিত : ২৩:৩৮, ২ মে ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

জনবান্ধব স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ও কোটি মানুষের হাতের কাছে পাবলিক টয়লেট সুবিধা পৌঁছে দিতে আরো বেশি সংখ্যক পাবলিক টয়লেট স্থাপন জরুরি। দেশের পাবলিক টয়লেট ব্যবস্থার উন্নয়নে গৃহীত উদ্যোগসমূহ এগিয়ে নিতে আজ রাজধানীতে দৈনিক ভোরের কাগজ এবং ওয়াটারএইড আয়োজিত এক ‘মত বিনিময় সভায়’ বক্তারা এ মতামত তুলে ধরেছেন।

জাতীয় পর্যায়ের এ মত বিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন-এর মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-এর মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, সিলেট সিটি কর্পোরেশন-এর মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম মাহমুদ হাসান, ওয়াসা-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী তাকসিম এ খান এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মোঃ খায়রুল ইসলামসহ সুইডিশ অ্যাম্বাসি এবং এইচএন্ডএম ফাউন্ডেশন এর প্রতিনিধিবৃন্দ।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন-এর মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমি প্রত্যক্ষভাবে এ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলাম এবং আছি। ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, চট্টগ্রাম ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন এবং খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা ওয়াসার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় গত কয়েক বছরে সিটি কর্পোরেশনগুলোর পাবলিক টয়লেট সংস্কৃতিতে এক নতুনমাত্রা যুক্ত হয়েছে। এ ধারা এগিয়ে নিতে হলে আরো বেশি সংখ্যক পাবলিক টয়লেট স্থাপন ও কোটি মানুষের হাতের কাছে এ সুবিধা পৌঁছে দেয়া জরুরি।’

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-এর মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, উন্নত পাবলিক টয়লেট নিশ্চিত করতে মার্কেট, রেস্তোরা সহ জনসমাগমস্থলে আরও বেশি বেশি পাবলিক টয়লেট বানাতে হবে। সিটি কর্পোরেশনগুলোর পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের এ কাজে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।

সিলেট সিটি কর্পোরেশন-এর মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে দেশের পাবলিক স্যানিটেশনের সার্বিক অবস্থা আগের তুলনায় উন্নতি হলেও বিষয়টি নিয়ে মানুষের অনেক ভোগান্তি রয়েছে। রাস্তাঘাটে পরিস্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট খুঁজে পেতে যথেষ্ট কষ্ট করতে হয়। ব্যয় করতে হয় অনেকটা সময় যা অনেক সময়ই বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দীর্ঘসময় রাস্তায় থাকতে হলে প্রতিবন্ধী, বয়স্ক মানুষ, নারী ও শিশুরা এ কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হয়। এ অবস্থা উত্তরণে আমাদের আরও উদ্যমী হতে হবে।’

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম মাহমুদ হাসান ঢাকার বাইরে বড় শহরগুলোর পাবলিক টয়লেট ব্যবস্থার উন্নয়নে আরো বেশি সংখ্যক পাবলিক টয়লেট স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

ওয়াটারএইড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মোঃ খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনসমূহের নেতৃত্বে বিগত ৫ বছরে ওয়াটারএইড এর সহযোগিতায় ৩৭টি আধুনিক মানের পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করে নতুন উদহারণ তৈরী করা হয়েছে। নির্মিত এ টয়লেটগুলো ৯০ লক্ষ বারেরও বেশী ব্যবহার করা হয়েছে, যা এ সেবার উন্নয়নের এক বড় মাপকাঠি। নির্মিত এ পাবলিক টয়লেটসমূহ নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালনা নিশ্চিত করতে পারলে জনগণের নিকট তা আরও গ্রহণযোগ্যতা পাবে।’

দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত মতবিনিময় সভাটি সঞ্চালনা করেন। অন্যান্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ওয়াটারএইড সুইডেনের প্রধান নির্বাহী, সিসিলিয়া চ্যাটার্জী মারটিনসেন ও সিডা’র ফাষ্ট সেক্রেটারী লিসা এন্ডারসন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই কর্মসূচী পরিচালক মো. মুস্তাফিজুর রহমান প্রমূখ।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানটির শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত দেশের সেরা পাবলিক টয়লেট, পাবলিক টয়লেটের শ্রেষ্ঠ সেবক (পুরুষ ও মহিলা), সেরা ফুয়েল ষ্টেশন টয়লেট ও সেরা হাইওয়ে টয়লেট এর প্রতিনিধিদের পুরস্কৃত করা হয়।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি