ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

আরও ১ হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ গ্রামীণফোনকে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৮, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনেকে (বিটিআরসি) আরও এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে গ্রামীণফোনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ৩ মাসের মধ্যেই এই টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। 

এই সময়ের মধ্যে গ্রামীণফোন টাকা না দিলে বিটিআরসির নিরীক্ষা আপত্তি দাবির নোটিসের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা অকার্যকর হয়ে যাবে।

আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল রোববার বিটিআরসিকে ১ হাজার কোটি পরিশোধ করে গ্রামীণফোন।

সোমবার আদালতে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী।

পরে মেহেদী হাসান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে গতকাল রোববার এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেছে গ্রামীণফোন। বাকি এক হাজার কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোনকে তিন মাস সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। নিরীক্ষা পাওনা দাবি নিয়ে করা মামলাটি (নিম্ন আদালতে থাকা) নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের দেয়া নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে গ্রামীণফোন যাতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিতের কথা বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত।’

গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে গত বছর দাবি করে বিটিআরসি। একপর্যায়ে বিটিআরসির দাবি করা টাকার অঙ্ক নিয়ে আপত্তি তুলে নিম্ন আদালতে একটি টাইটেল স্যুট (স্বত্ত্বের মামলা) মামলা করে গ্রামীণফোন। 

ওই মামলাটি আদালত গ্রহণ করে। ওই টাইটেল স্যুটের অধীনেই গ্রামীণফোন বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করে, যা গত ২৮ আগস্ট নিম্ন আদালত খারিজ করে দেন। নিম্ন আদালতের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে পরে হাইকোর্টে আপিল করেন গ্রামীণফোন। সে আপিলটি শুনানির পর বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট।

তবে, হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করে বিটিআরসি। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৪ নভেম্বর আপিল বিভাগ ৩ মাসের মধ্যে বিটিআরসিকে ২ হাজার কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোনের প্রতি নির্দেশ দেন। 

এছাড়া সর্বোচ্চ আদালত ওইদিন তার আদেশে বলেন, ২ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার আদেশটি বাস্তবায়ন না হলে গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার আদেশটি বাতিল হয়ে যাবে।

এরপর বিটিআরসিকে ৩ মাসের মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা দেয়ার আদেশটি পুনঃবিবেচনা চেয়ে ২৬ জানুয়ারি গ্রামীণফোন আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন করে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি সে রিভিউ আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিটিআরসিকে ১ হাজার কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোনের প্রতি নির্দেশ দেন এবং এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হকের কাছে ২৩ ফেব্রুয়ারি এক হাজার কোটি টাকার পে-অর্ডার তুলে দেন গ্রামীণফোনের হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত। এই পে-অর্ডার হস্তান্তরের বিষয়টি সোমবার আপিল বিভাগকে জানান গ্রামীণফোনের আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। এরপর সর্বোচ্চ আদালত আগামী তিন মাসের মধ্যে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে আরও ১ হাজার কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোনের প্রতি নির্দেশ দেন।

এআই/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি