আ’লীগ এমপির কাছ থেকেও ৫ কোটি টাকার চাঁদা নেয় রিয়াদ ও তার দল
প্রকাশিত : ১৯:১৩, ৩০ জুলাই ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ ও তার দলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির আরও এক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগের আরেক সাবেক এমপি আব্দুল কালাম আজাদের কাছ থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকার চেক আদায়ের অভিযোগ উঠেছে রিয়াদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৩০ জুলাই) দেশের একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে পুলিশ ও আজাদের বরাতে জানানো হয়, রিমান্ডে থাকা রিয়াদের বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক আজাদের নামে ইস্যু করা। তিনি নবম জাতীয় সংসদে রংপুর-৬ আসনের এমপি ছিলেন।
ওই পত্রিকাকে দেওয়া এক বক্তব্যে সাবেক এমপি আজাদ বলেন, গত ২৬ জুন রিয়াদের নেতৃত্বে ১০–১২ জনের একটি দল তার অফিসে এসে হুমকি দিয়ে বলে, ‘টাকা দেবেন, না জুতার বাড়ি খাবেন?’ পরবর্তীতে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও ৫ কোটি টাকার চেক নিয়ে যায় তারা। তবে কিছুদিন পর মোবাইলটি ফেরত দেওয়া হয়।
আজাদ অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা তাকে শেখ হাসিনার ‘দোসর’ আখ্যা দিয়ে চাঁদা দাবি করে ভয়ভীতি দেখায়। বর্তমানে বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় তিনি বিস্তারিত মন্তব্য করতে চাননি।
এর আগে গত ২৬ জুলাই গুলশানে আরেক আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে রিয়াদসহ পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। শাম্মীর স্বামী অভিযোগ করেন, তার কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়, যার মধ্যে ১০ লাখ টাকা দিতে বাধ্য হন তিনি।
এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং রিয়াদসহ চারজনকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডে থাকা অন্য তিনজন হলেন—ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম এবং সাদাব। এ ঘটনার পর অভিযুক্তদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ডিএমপির তথ্য অনুযায়ী, রিয়াদের বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ চেকের উৎস ও ব্যবহার খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গুলশান থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, রিয়াদ ও তার সহযোগীরা আর কার কার কাছ থেকে চাঁদাবাজি করেছে তা তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে।
সূত্র : দ্য ডেইলি স্টার
এসএস//
আরও পড়ুন