ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

লেখক, সমাজ সংস্কারক, শিক্ষাবিদ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন আজ। তিনি ১৮২০ সালের আজকের এই দিনে (২৬ সেপ্টেম্বর) অবিভক্ত ভারতের মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা ভগবতী দেবী।

পাঁচ বছর বয়সে সনাতন বিশ্বাসের পাঠশালায় বিদ্যাসাগরের পড়াশোনা শুরু। আট বছর বয়সে বাবার সঙ্গে হেঁটে তিনি কলকাতা যান এবং শিবচরণ মল্লিকের পাঠশালায় এক বছর পড়েন।

পরে সংস্কৃত কলেজে ১২ বছর অধ্যয়ন করেন এবং ব্যাকরণ, কাব্য, অলংকার, বেদান্ত, স্মৃতি ন্যায় ও জ্যোতিষশাস্ত্রে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। এসব বিষয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই তিনি ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ করেন। পড়ালেখা শেষে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের হেড পণ্ডিত পদে যোগ দেন। পাঁচ বছর পর সংস্কৃত কলেজের সহকারী সম্পাদক পদে যোগ দেন।

সংস্কৃত কলেজ তার সংস্কৃত শিক্ষার সংস্কার প্রস্তাব অগ্রাহ্য করলে তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে ফিরে আসেন। অবশ্য পরে শর্ত মানার আশ্বাস পেয়ে তিনি সংস্কৃত কলেজে ফিরেছিলেন।

বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার। তিনি জনপ্রিয় শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয়সহ একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ ও সংস্কৃত, হিন্দি ও ইংরেজি থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বই বাংলায় অনুবাদ করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : ‘বর্ণপরিচয়’, ‘সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্রমণিকা’, ‘ব্যাকরণ কৌমুদী’, ‘বিধবা বিবাহ চলিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব’ প্রভৃতি। অনুবাদ : ‘বেতালপঞ্চবিংশতি’ (হিন্দি থেকে), ‘শকুন্তলা’, ‘সীতার বনবাস’, ‘ভ্রান্তিবিলাস’ (শেকসপিয়ারের কমেডি অব এরস)।

বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ রোধ, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা, নারী শিক্ষা ইত্যাদি কাজে বিদ্যাসাগর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ১৮৯১ সালের ২৯ জুলাই তিনি মারা যান।

এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি