ঢাকা, মঙ্গলবার   ২১ মে ২০২৪

উত্তরাঞ্চলে বিকশিত হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর পেশা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫৯, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০

জেলা সদরে বসেই বিশ্বের নামি-দামী প্রতিষ্ঠানের কাজ করছে তরুণরা। নিজেরাই এখন উদ্যেক্তা সৃষ্টি করছেন কর্মসংস্থানও। এমন আয়োজনে আশার বাতিঘর রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক। প্রতিষ্ঠানটি প্রযুক্তি-শিক্ষা, শিল্প ও শ্রমের সমন্বয় করছে। এর মধ্যদিয়ে উত্তরাঞ্চলে বিকশিত হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর পেশা। 

খোঁজ নিয়ে দেখাযায়, আমাজন কিংবা ইবের মতো বিশ্ব খ্যাত বড় বড় ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানের সাথে বাণিজ্য করছে দেশেরই এক উদ্যোক্তা। নাম এমডি ইনফোটেক। 

এমনটা সম্ভব হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা আর প্রযুক্তি-জ্ঞানের কারণে। তাও, রাজশাহীর মতো শহরতলীতে বসেই। কারণ, একটাই প্রযুক্তির কোন সীমানা নেই, কাজেরও নেই নিদিষ্ট গন্ডি। 

এমডি ইনফোটেক’র সিইও মঞ্জুর মোর্শেদ সজরল জানান, ‘তরুণ ও ক্ষুদ্র-মাঝারি যারা উদ্যোক্তা আছেন, তাদের পণ্য সেবাগুলো আমরা রিপ্রেজেন্ট করি।’

এমন দশটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে রাজশাহীর শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ইনকিউবেশন সেন্টারে। কি নেই এখানে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের পাশাপাশি রোবটিক্স এর মতো উচ্চ প্রযুক্তির বিষয়গুলোও বাদ যায় না। আয় হচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রা। 

আরেক প্রতিষ্ঠান ফিলিট বাংলাদেশ’র সিইও মোহাম্মদ খাইরুল আলম বলেন, ‘এ অঞ্চলে অনেক শিক্ষিত তরুণ-তুরণী রয়েছে। অথচ আমাদের এখানে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান নেই। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যানসিংয়ের উদ্যোগ নিই। এখন এ প্রতিষ্ঠানে ৫শ’ জন কাজ করছে।’

টেক রাজশাহী নামের অপর আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সিইও মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘মোবাইল গেম ডেভলপমেন্ট, ই-কমার্স অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন ধরনের রোবটিকস এবং সফটওয়্যার ডেভলপমেন্টের কাজ করি।’

সফলতা মিলছে, উচ্চশিক্ষা শেষে বড় বড় শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা কমছে। নিজ ঘরে বসেই আয় উপার্জন করছেন অনেকে। 
নারী উদ্যোক্তরা বলছেন, ‘আমাদের জন্য এটি বড় একটা সুবিধা। কেননা, বাসা থেকেই আমরা এ কাজ করতে পারছি।’

গ্লোবাল ভিলেজ ধারণার এই যুগে প্রযুক্তি জ্ঞানের বিস্তার যেমন জরুরি, এ বিষয়ে গবেষণা বাড়ানোও জরুরি-বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 

এ ব্যাপারে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সহযোগী প্রফেসর তাসনিম বিনতে সওকত বলেন, ‘বর্তমানে যারা শিখছে, তারা কেবল যে অর্থনৈতিক সুবিধা রয়েছে এমন কাজ করছে, তা কিন্তু নয়।  তারা রোবটিকস, অ্যাপ ডেভলপমেন্ট ও স্যোসাল নিরাপত্তা নিয়েও কাজ করছে। ’

আনন্দের সাথে উপার্জন। শিক্ষা অর্জনের পর আর  বেকারত্বের অভিশাপ নয়। নিজেই উদ্যেক্তা, কাজ দিচ্ছেন অন্যকে। বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক প্রযুক্তির অভিযাত্রায়  সহযোগিতা দিচ্ছে নতুন প্রজন্মকে। 
এআই/ এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি