ঢাকা, সোমবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৫

উদ্ভাবনী শক্তি কমে যাচ্ছে প্রযুক্তি কর্মীদের : গবেষণা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৩, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৪:০৭, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের দৈনন্দিন কাজকে সহজ করে তুললেও অনেক সময় তা দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাটও ঘটায়। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তাই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করেছে সফটওয়্যার নির্মাতা মাইক্রোসফট করপোরেশন।

প্রযুক্তিকর্মীদের উদ্ভাবনী চিন্তায় যে এই প্রযুক্তিই ব্যাঘাট ঘটায়, এ নিয়ে সম্প্রতি এক জরিপের ফল প্রকাশ করেছে মাইক্রোসফট করপোরেশন। এতে দেখা যায়, প্রযুক্তিকর্মীদের উদ্ভাবনী চিন্তায় প্রযুক্তিই ব্যাঘাট ঘটায়। প্রায় ২০ হাজার প্রযুক্তিকর্মীদের ওপর চালানো এ জরিপে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের ২১টি দেশের কর্মীরা অংশ নেন। এদের প্রায় বেশির ভাগই একমত হয়েছেন যে ই-মেইল, খুদে বার্তা ও নোটিফিকেশন তাদের প্রায়ই কাজের ব্যাঘাত ঘটায়। এ সমস্যাকে ‘টেকনোস্ট্রেস’ নাম দিয়েছেন বিশেজ্ঞরা।

মাইক্রোসফটের চালানো জরিপে দেখা যায়, মাত্র ১১.৪ শতাংশ কর্মীর উদ্ভাবনী চিন্তা উঁচুমানের। আধুনিক কর্মীরা তাদের নখদর্পনে প্রযুক্তির প্রাচুর্য রাখলেও এটা কোনো কাজেই আসে না। স্মার্টফোনে সারা দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অসংখ্য নোটিফিকেশনের উত্তর দেওয়ার ঝুঁকিপূর্ণ দিক তুলে ধরেই জরিপ করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এর থেকে পরিত্রাণের উপায়ও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। মানচেস্টার বিজনেস স্কুলের সাংগঠনিক মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্যারি কুপার বলেন, প্রযুক্তির যুগে প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে দূরে থাকার কোনো উপায় নেই। যোগাযোগের জন্য এর ব্যবহার করতেই হবে। তবে কীভাবে এর সঠিক ও ফলপ্রসূ ব্যবহার করা যাবে, এর শিক্ষা থাকা উচিত কর্মীদের। সৃজনশীলতা থেকে উদ্ভাবনী চিন্তা আসে। তাই কম্পিউটারের সামনে বসে যন্ত্র না হয়ে সেটার নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার প্রয়োজন, বলেন ক্যারি কুপার।

সূত্র: বিবিসি

একে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি