ঢাকা, বুধবার   ১৫ মে ২০২৪

একজন মুক্তিযোদ্ধার জবানবন্দী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:০৯, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নুর আহমেদ

নুর আহমেদ

নুর আহমেদ। মুক্তিযুদ্ধকালীন গেরিলা বাহিনীর প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনটি মুখোমুখি যুদ্ধে। যুদ্ধের পর থেকে আজ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারন করে রাজনীতি করে যাচ্ছেন। শ্রমজীবী মানুষ তথা শ্রমিকদের মুক্তি আন্দোলনে চট্টগ্রামে পরিচিত নাম। রাজনীতির মাঠে নুর আহমেদ কর্মীদের কাছে যেমন এক আস্থার নাম তেমনি সাধারণ মানুষদের কাছেও জননেতা হিসেবে স্বীকৃত। কোন অর্থ বা পেশীশক্তির দাপটে নয়, মানুষ কে ভালোবেসে ছুটে চলেছেন আজও। নুর আহমেদ একুশে টেলিভিশন অনলাইনে তার মুক্তিযোদ্ধের কথা তুলে ধরেছেন।

তিনি বলেন, ১৯৬৭-৬৮ সালে সীতাকুন্ডে আওয়ামী লীগের অবস্থান দৃঢ় ছিল। মূলত ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সংগঠিত হয়। ওই সময়ে মুসলিম লীগের কিছু পোষা গুণ্ডা এলাকায় নানা ধরনের চাঁদাবাজি, সন্ত্রাশী করত। তারা সুযোগ পেলে আমাদের ছাত্রলীগের ছেলেদের মারধর করত। নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখাত। থানার পুলিশকে পাত্তা দিতো না। মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানী করত। আমার বাড়ি সীতাকুন্ড বাজার থেকে পশ্চিম দিকে গুলিয়াখালী গ্রামে। আমি আমার এলাকার ছেলেদের সংগঠিত করে এসব গুণ্ডাদের প্রতিহত করতে কাজ করতাম। প্রায় সময় মারামারি হত। ধীরে ধীরে সীতাকুন্ডে ছাত্রলীগের অবস্থান ভালো হয়। তবে আওয়ামী লীগের সভাপতি- সম্পাদক কেমন যেন নিরহ স্বভাবের, অনেকটা কমিউনিস্ট পার্টির মতো চলাফেরা করতেন।

এরপর আমরা ১৯৭০ সালের নির্বাচন করি ও বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমাদের প্রার্থী এম আর সিদ্দিকীকে বিজয় লাভ করাই। মুসলিম লীগের প্রার্থীর ভরাডুবি হয়।

এরপর এলো সেই ভয়াবহ ২৬ মার্চ। সেই ভয়াবহ কালো রাত্রি। সারাদেশের মতো সীতাকুন্ডেও মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার বাতাস লাগে। ২৭ বা ২৮ মার্চ। এদিন ঢাকার দিক থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানি আর্মির গাড়ি আসছিল। জনগণ খুব ক্ষুব্ধ। বর্ণালী ক্লাবে একটা ছেলে ছিল। নাম তাহের। সে আইএসসি পাস করে বিএসসি পড়ত। সে কোকাকোলার বোতলে ককটেল বানাল। আমাদের একটা টিম গিয়ে সীতাকুন্ড আলীয়া মাদ্রাসার সামনে অবস্থান নেয় এবং পাকিস্তানিদের গাড়ি যাওয়ার সময় তাতে সেই হাতে বানানো ককটেল নিক্ষেপ করি। নিক্ষেপ করে পালিয়ে যাই। একটা কথা না বললে নয়, সামান্য ককটেলে পাকিস্তানিদের তেমন কোন ক্ষতি হতো না। মারাও যেতো না। তবে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল তাদেরকে বুঝানো, জনগণ খুব ক্ষেপে আছে। বা জনগণ তোমাদের বাগে পেলে ছাড়বে না।

পাকিস্তানি আর্মিদের গাড়িগুলো বেশী তোপের মুখে পড়ে বাড়বকুন্ডে। সেখানে সাধারণ মানুষ রাস্তায় উঠে যায়। সাধারণ মানুষ তখন ক্ষেপে গেছে। বুঝে গেছে পাকিস্তানীদের সঙ্গে আমাদের আর হবে না। বাদশাহ নামে এক যুবক লম্বা ছুরি নিয়ে পাকিস্তানি আর্মির গাড়ির দিকে তেড়ে যায়। পাকিস্তানি আর্মি গুলি চালায়। তাতে বাদশা তাৎক্ষণিক শহীদ হন। সীতাকুন্ডের প্রথম শহীদ এই বাদশা।

ক্যান্টনমেন্টে যখন আঘাত হানল তখন বাঙালিরা হেঁটে হেঁটে পাহাড় দিয়ে এসে সীতাকুন্ড পাহাড় থেকে নামতে লাগল। আমরা প্রথমে তাদের নিয়ে গিরী ধর্মশালায় থাকার ব্যবস্থা করি। এর মধ্যে যারা ইপি আর ছিল তাদের থাকার ব্যবস্থা করি সীতাকুন্ড ডিগ্রি কলেজে। সেখানেও জায়গার ঘাটতি দেখা দিলে সীতাকুন্ড হাই স্কুলে তাদের থাকার ব্যবস্থা হয়।

এরপর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় ক্যাপ্টেন মতিন ও ক্যাপ্টেন ভুঁইয়ার সঙ্গে। ক্যাপ্টেন মতিনের বাড়ি সিলেট। তিনি অনেক সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। ৩১ মার্চ সীতাকুন্ড বাজারের ওপর বিমান থেকে গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তানি বাহিনী। সেদিন হাট বার ছিল। প্রচুর হতাহত হয়। আট - দশ জন সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। অধিকাংশ বোমা থানার পাশে যে দিঘী আছে ( মহন্তর দিঘী) সেই দিঘীতে পড়ে। নয়তো আরও অনেক লোক মারা যেত। আমি তখন সীতাকুন্ড বাজারে অমলেন্দু সেনের দোকানে চা খাচ্ছিলাম। বোমা হামলা বন্ধ হলে আমরা গিয়ে ক্যাপ্টেন মতিনের সঙ্গে আলাপ করি।

এরপর থেকে সীতাকুন্ডে মুক্তিযুদ্ধের আবহ জোরে শুরু হয়। বাঙালি সেনাবাহিনী কুমিরা থেকে উত্তর দিকে ফকিরহাট পর্যন্ত রাস্তার পাশে ট্রেন্স খনন করে। আমি তখন নিয়মিত সেনাবাহিনীকে পথঘাট চিনিয়ে সহযোগিতা করতাম। কারণ অন্যান্য জেলা থেকে আসার কারণে বাঙালি সেনাবাহিনী সীতাকুন্ডের রাস্তাঘাট ভালো চিনত না।

সীতাকুন্ড বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে যে বড় বিল আছে (নায়ক শফিদের বাড়ীর পার্শ্বে) সেখানে বড় একটি বোমা ফেলা হয় বিমান থেকে। ক্যাপ্টেন মতিন আমাকে নির্দেশ দিলেন সেটি দেখে আসার জন্য। তখন আমি নায়েক বশর ও সুবেদার সিদ্দিক সেখানে যাই। আমরা যখন গিয়েছি তখনো হেলিকপ্টারটি চক্কর দিচ্ছিল। নায়েক বশর তখন হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে ব্রাশফায়ার দিল।

এরমধ্যে আমরা খবর পেলাম নদীপথে পাকিস্তানি আর্মি আসছে আক্রমন করার জন্য। ক্যাপ্টেন মতিন আমাদের কাছে জানতে চাইলেন, নদীতে যাওয়ার কোন সহজ উপায় আছে কি না? আমি হিসাব নিকাশ করে বললাম, মীরেরহাট ( সৈয়দপুর ইউনিয়নের মীরেরহাট বাজার) দিয়ে যাওয়া যায়। তখন আমরা কিছু ছেলেপিলে ও ইপি আর নিয়ে একটি জিপ নিয়ে সৈয়দপুরের দিকে যাই। পশ্চিম সৈয়দপুর মিছির মাস্টারদের বাড়ি পশ্চিমেই বেড়ীবাঁধ। সেখানে গিয়ে আরেকজন বাঙালি অফিসারকে পাই যিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। পরে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় পালিয়ে গ্রামে আসেন ও যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

(প্রথম মুখোমুখি যুদ্ধ)

পাকিস্তানী আর্মি নদীপথে এসে বেড়ীবাঁধের পশ্চিম দিকে নামে। শুনেছি তারা এসেছিল জাহাজে করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল পেছন থেতে এসে আমাদের ঘেরাও করা। আমার সৈয়দপুর আসর উদ্দেশ্য ছিল, বেশ কয়েকদিন গোসল করি নাই। একটু ভালো করে গোসল করব। সুযোগ পেলে কিছুক্ষণ ঘুমাব।

বন্ধুর বাড়িতে খেতে বসেছি। এমন সময় গোলাগুলি শুনে খেয়ে না খেয়ে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে গেলাম। দেখি পাকিস্তানিরা আমাদের ওপর ফায়ার করছে। ওরা ( পাকিস্তানি আর্মি) বেড়ীবাঁধের ওপর থেকে ফায়ার করছে। বেড়ীবাঁধ কিন্তু যথেষ্ট উঁচু। আমরাও নিচ থেকে ফায়ার শুরু করলাম। অস্বীকার করার উপায় নাই, আমাদের হাতে ছিল রাইফেল, স্টেন গান আর দু`একটা এলএমজি। নিচ থেকে ওপরের দিকে নিশানা ঠিক রেখে তাক করা কঠিন ব্যাপার। আমাদের দিক থেকে যেসব ফায়ার হয়েছিল তার বেশ কিছু ছিল মিসিং ফায়ার। এলোপাথাড়ী করা হয়েছিল। ওরা আস্তে আস্তে পিছু হটে। আমাদের যেহেতু অস্ত্র কম ছিল আমাদের আসল উদ্দেশ্য ছিল ওদের ভয় ভীতিতে রাখা।

বেঙ্গল রেজিমেন্টের যেসব সৈনিকরা আমাদের সঙ্গে ছিল তারা এ সময় ইউনিফর্ম চেঞ্জ করে স্থানীয়দের কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে লুঙ্গি পড়ে। বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকরা সিদ্ধান্ত নেয় তারা জায়গা পরিবর্তন করবে। নয়তো পাকিস্তানিদের হাতে ধরা পড়ার সম্ভাবনা আছে। তারা উত্তর দিকে ( মিরসরাই) রওনা দেয়। এরপর দুটো রিকসা নিয়ে আমি আমাদের অস্ত্রগুলো একসঙ্গে করে সীতাকুন্ড বাজারে চলে আসি। ক্যাপ্টেন মতিনের সঙ্গে দেখা করে সব বিস্তারিত জানাই। তারপর ক্যাপ্টেন মতিন আমাদের নিয়ে মিরসরাইর দিকে রওনা দেয়। আমরা ক্যাপ্টেন মতিনের সঙ্গে করেরহাট যাই। ওই রাতেই আমরা মিরসরাই বাজারে চালের একটা বড় গোডাউন ছিল। তার সামনে খোলা জায়গায় আমরা জড়ো হই। সেখান থেকে ক্যাপ্টেন মতিন তার রেজিমেন্ট নিয়ে বিদায় নেয়। এই কয়দিনে আমি তাদের বেশ বিশ্বস্ত হয়ে উঠি।

ক্যাপ্টেন মতিন তার রেজিমেন্ট নিয়ে বিদায় নিলে আমি সীতাকুন্ডের গুলিয়াখালী ফিরে আসি বাবা মায়ের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার জন্য। ওই দিন রাতেই হানাদার বাহিনী মিরসরাইতে আক্রমন চালায়। ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পরের দিন আমি আমাদের বেশ কয়েকজন যুবক ছেলে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। তারা মিরসরাই পর্যন্ত এসে ভয়ে ফিরে যায়। আমি মিরসরাইর মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় ওই দিক দিয়ে বর্ডার পার হয়ে ভারত চলে যাই। প্রথমে গিয়ে উঠি হরিনা ক্যাম্পে। হরিনা ক্যাম্পে ক্যাপ্টেন মতিনদের সঙ্গে আবার দেখা হয়। এরপর যোগাযোগ হয় চট্টগ্রামের এমএ হান্নান ভাইয়ের সঙ্গে। দেখা হয় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ ভাইয়ের (বর্তমানে গণপূর্তমন্ত্রী) সঙ্গে। এরপর আমাদের ট্রেনিংয়ে নেওয়া হয় অম্পিনগর। সেখানে প্রশিক্ষণ শেষে ৩২ জনের দল নিয়ে আমি বাংলাদেশে ঢুকি। আমাকে প্লাটুন কমান্ডার- এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এটা মে মাসের শেষ দিকে বা জুন মাসের প্রথম দিকের ঘটনা।

(দ্বিতীয় মুখোমুখি যুদ্ধ)
হানাদারদের বিরুদ্ধে আমাদের দ্বিতীয় মুখোমুখি যুদ্ধ হয় কুমিরাতে। অক্টোবর বা নভেম্বরের দিকে। তৎকালীন থানা আওয়ামী লীগের প্রচার বা দফতর সম্পাদক ছিল এমন এক নেতা যার নাম সময়ের ব্যবধানে আমার ঠিক মনে নেই, তার বাড়ি ছিল কুমিরা। আমরা তার বাড়িতে আশ্রয় নিই। মাত্র এক কিলোমিটার দক্ষিণে কুমিরা ঘাট ঘরটি কখন হানাদারদের কড়া দখলে। একই সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটা বড় দল ছিল। তার নেতৃত্বে ছিল নায়েক শফি (পরবর্তীতে পৌর মেয়র)। আমাদের ডান পার্শ্বেই বঙ্গোপসাগরের মোহনা স্বন্দ্বীপ চ্যানেল। আমরা একদিন রাতে সোর্সের মাধ্যমে খবর পেলাম ভোরে হানাদাররা আমাদের ঘেরাও করবে। ভোর চারটা থেকে আমরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। পাশে একটা খাল ছিল। বাঁশের সাঁকো পার হয়ে আমরা খাল পার হয়ে যাই। ওরা পানি ভয় পেত। ফলে বাঁশের সাঁকো পার হওয়ার ঝুঁকি নেবে না এই বিশ্বাস আমাদের ছিল।
সকাল নটা- দশটার দিকে দেখা গেল নদীর পাড় দিয়ে ওরা আসছে। অর্থাৎ কুমিরা ঘাট ঘর থেকে নদীর পাড় দিয়ে হেঁটে আসছে।

প্রথমে ভেবেছিলাম তারা উত্তর দিকে চলে যাবে। কিন্তু ওরা তা না করে যখন গ্রামের দিকে ঢুকল তখন আমরা সন্দেহ করলাম তারা আমাদের ঘেরাও করতে পারে। ফলে আমরা তাদের গতিরোধ করার জন্য ফায়ার শুরু করলাম। সংখ্যায় আমরা খুব বেশী ছিলাম না। সব মিলিয়ে আঠার-বিশ জন হতে পারি। না বললেই নয়, যেহেতু আমরা সংখ্যায় কম ছিলাম, অস্ত্র বেশি ছিল না, সেহেতু সব সময় আমাদের উদ্দেশ্য থাকতো ওদের ব্যতিব্যস্ত রাখা। মানসিক চাপে রাখা। হ্যাঁ, আমাদের গুলিতে ওরা মারা গেলে ভালো। তবে মারা না গেলেও ভয় পাক। দখল ছেড়ে দিক। ওখানে আমাদের মধ্যে মুখোমুখি যুদ্ধ হয়। আমাদের অবস্থানটা শক্তিশালী ছিল। ওদের কেউ মারা গেছে কিনা বুঝা যায়নি। মারা গেলেও হয়তো লাশ নিয়ে গেছে।

এই যুদ্ধে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের একজন যোদ্ধা শফিউল আলম (তখন ছাত্রলীগ করত, পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার হয়েছিল) বলল, হানাদাররা পরে আবার হামলা করবে। এলাকাবাসী বলল, আপনারা নিরাপদে সরে যান। ওরা হামলা করলে যা হবার হবে। অবশ্য পরে তেমন কিছু হয়নি। আমরা যেমন সতর্ক থাকতাম ওরা কোন দিক থেকে আসছে, ওরাও ভয় পেত আমরা কোন দিক থেকে আসছি। এর পরেও নানা দিকে টুকটাক যুদ্ধ আশে পাশে অনেক হয়েছে। তবে মুখোমুখি বড় যুদ্ধ এই দুটাই। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হয়ে যায়।

আ আ// এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি