ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

এবিএম মূসার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত : ০৯:০৯, ৯ এপ্রিল ২০১৯

সাংবাদিক, সম্পাদক ও কলামিস্ট এবিএম মূসার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন এই বর্ষীয়ান সাংবাদিক। 

১৯৩১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার ধর্মপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবিএম মূসা। তার শিক্ষাজীবন কেটেছে চট্টগ্রামের গভর্নমেন্ট মোসলেম হাই স্কুল, নোয়াখালী জিলা স্কুল, ফেনী কলেজ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে। একজন স্পষ্টবাদী সাংবাদিক ছিলেন তিনি। কলেজে পড়াকালে সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি চৌমুহনী থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘কৈফিয়ত’ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দেশের গণতন্ত্র, শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও নির্যাতনের সরাসরি সমালোচনা করেছেন। টিভি টকশোতে তার ছিল সরব উপস্থিতি। তাতে সরকারের দুর্বলতা, দেশের উন্নতি ও অবনতি নিয়ে তিনি কথা বলতেন স্পষ্ট ভাষায়।

এবিএম মূসা জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ক্লাবের আজীবন সদস্য। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবে চারবার সভাপতি এবং তিনবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এবিএম মূসা ১৯৫০ সালে দৈনিক ইনসাফের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ওই বছরেই তিনি ইংরেজি দৈনিক পাকিস্তান অবজারভারে যোগ দেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় সরকার পাকিস্তান অবজারভার বন্ধ করে দিলে তিনি সংবাদে যোগ দেন।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিবিসি, সানডে টাইমস প্রভৃতি গণমাধ্যমের সংবাদদাতা হিসেবে রণাঙ্গন থেকে সংবাদ প্রেরণ করতেন এ বি এম মূসা। স্বাধীনতার পর তিনি বিটিভির মহাব্যবস্থাপক ও মর্নিং নিউজের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে ফেনী আসন থেকে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন তিনি। ’৭৫ এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেন। আর কখনও সরাসরি রাজনীতিতে অংশ নেননি তিনি।

১৯৭৮ সালে এ বি এম মূসা ব্যাংককে অবস্থিত জাতিসংঘের পরিবেশ কার্যক্রমের (এসকাপ) এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক পদে যোগ দেন। দেশে ফিরে তিনি ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে তিনি কিছুদিন যুগান্তরের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এ বি এম মূসা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে আলোচক এবং সংবাদ বিশ্নেষক হিসেবে অংশ নিয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদকসহ জেফারসন ফেলোশিপ, কমনওয়েলথ প্রেস ইউনিয়ন ফেলোশিপ অর্জন করেন।

তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি