ঢাকা, সোমবার   ১৩ মে ২০২৪

এমপি লিটন হত্যা মামলার রায় আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৪, ২৮ নভেম্বর ২০১৯

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগদলীয় প্রয়াত সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার। গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিকের আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হবে। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের দীর্ঘ ১৮ মাস যুক্তিতর্কের পর এ রায় হচ্ছে আজ।

গত ১৯ নভেম্বর সর্বশেষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন উভয়পক্ষের আইনজীবীরা।

প্রসঙ্গত, বহুল আলোচিত সাংসদ লিটন হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ দুটি মামলা দায়ের করে- একটি অস্ত্র মামলা, অন্যটি হত্যা মামলা। অস্ত্র মামলায় একমাত্র আসামি ওই আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল কাদের খানকে গত ১২ জুন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। হত্যা মামলাটির রায় হচ্ছে আজ।

রায় ঘোষণা করার সময় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আসামি আবদুল কাদের খানসহ অভিযুক্ত আট আসামির মধ্যে ছয়জনকে আদালতে উপস্থিত রাখা হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানিয়েছে।

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শফিকুল ইসলাম বলেন, সাক্ষী-প্রমাণসহ মামলার নানা দিক আলোকপাত করে আদালতে যুক্তিতর্ক তুলে ধরা হয়েছে। আশা করছি, এ মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের ফাঁসিসহ সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।

এদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজুর মোর্শেদ বাবু বলেন, সাংসদ লিটনকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। এ মামলায় আসামি কাদের খানকে ফাঁসানো হয়েছে। আসামিদের নির্দোষ দাবি করে আদালতে পর্যাপ্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। মামলার রায় সন্তোষজনক না হলে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকুলী। তদন্ত শেষে কাদের খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল আলোচিত এ হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়ে তা শেষ হয় ৩১ অক্টোবর। এ পর্যন্ত আদালতে মামলার বাদী, নিহতের স্ত্রী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার বাসা থেকে কাদের খানকে গ্রেপ্তারের পর থেকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন তিনি। এ ছাড়া আসামি কাদের খানের পিএস মো. শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক আবদুল হান্নান, কাজের লোক মেহেদি হাসান, শাহীন মিয়া ও আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে রানা জেলা কারাগারে রয়েছেন। তবে অভিযুক্তদের মধ্যে আসামি কসাই সুবল কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় মারা যান। এ ছাড়া ভারতে পলাতক রয়েছেন অপর আসামি চন্দন কুমার সরকার।
এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি