ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ওষুধ খেয়েও ঘুম হয়না? ৩ অভ্যাসেই দূর হবে সমস্যা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:২৪, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

দৈনন্দিন জীবনযাপন ও কাজের ব্যস্ততায় ঘুমের চক্র বদলে যাচ্ছে। অথচ শরীর সুস্থ রাখার অন্যতম ওষুধ হল পর্যাপ্ত ঘুম। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত হয়ে ওঠে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের রোজ অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। কিন্ত বিভিন্ন কারণে ঘুম ঠিক করে হয় না। কাজ, ব্যস্ততা তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে অনেকেরই ঘুম না আসার সমস্যা আছে। 

তবে ভালো ঘুম হওয়ার কয়েকটি টোটকা রয়েছে। সেগুলো কাজে লাগালে দরকার পড়বে না ঘুমের ওষুধের।

প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমান

রোজ ঘুমের সময় নির্দিষ্ট রাখতে হবে। একদিন তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লেন, অন্য দিন নেটফ্লিক্সে সারা রাত সিরিজ দেখে ভোরে ঘুমোতে গেলেন। এমন অভ্যাসে ব্যাহত হবে ঘুমের চক্র। প্রভাব পড়বে শরীরের উপর। ঘুমের একটি নির্দিষ্ট সময় থাকা প্রয়োজন। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে এই সময়টি ৭-৮ ঘণ্টা। কিন্তু ঘুমাতে যাওয়ার সময়ের এ দিক-ও দিকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে পারে। ওজন বেড়ে যাতে পারে। শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমান।

নিমের পানিতে গোসল

নিম শরীর ভিতর থেকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। নানারকম ব্যাক্টেরিয়াজাত সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে নিমপাতার জুড়ি মেলা ভার। নিমে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এর অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের প্রদাহনাশক হিসাবে কাজ করে। শরীর ভিতর থেকে পরিষ্কার থাকলে ঘুমও ভালো হবে। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কুসুম নিমপানিতে গোসল করুন।

পায়ের পাতায় ঘি মালিশ করুন

রান্না সুস্বাদু করতে ঘিয়ের জুড়ি মেলা ভার। তবে যারা দীর্ঘ দিন ধরে অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন, তারাও ভরসা রাখতে পারেন ঘিয়ের উপর। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ের পাতায় ঘি মালিশ করলে ঘুম আসবে তাড়াতাড়ি। সেই সঙ্গে ঘুম গাঢ় হবে। ঘি রক্ত চলাচল সচল রাখে। আর রক্তপ্রবাহ ঠিক থাকলে ঘুমও ভাল হবে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
এমএম/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি