করোনা ছুঁয়েছে পাঁচ কোটি দুই লাখ মানুষের শরীর
প্রকাশিত : ১১:৪৩, ৮ নভেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১১:৪৭, ৮ নভেম্বর ২০২০
বিশ্বব্যাপী করোনাক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচ কোটি ছাড়াল আজ। তবে দশ মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আস্থা রাখার মত কার্যকরি ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি। যার ফলস্বরূপ এখনও গড়ে ৭ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন ভাইরাসটির আক্রমনে। গত একদিনেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২ লাখ ৫৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সে তুলনায় অনেক পিছিয়ে সুস্থতার হার।
বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৯৮ হাজার ২ জনের দেহে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৭ জনে। নতুন করে ৭ হাজার ৪৩৬ জন মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২ লাখ ৫৫ হাজার ৬২৮ জনে ঠেকেছে।
আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থতা লাভ করেছেন ৩ কোটি ৫৫ লাখ ৪১ হাজারের বেশি ভুক্তভোগী। এর মধ্যে গত একদিনেই বেঁচে ফিরেছেন ২ লাখ ৭৯ হাজার ৭১৫ জন রোগী।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৮৯টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবকটি অঙ্গরাজ্যেই দীর্ঘ হয়ে চলেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১ লাখ ৮২ হাজার ৮১৮ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৭ জনের।
সংক্রমণের হারে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ লাখ ৭ হাজার ২০৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ২৬ হাজার ১৬২ জনের।
প্রাণহানিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও সংক্রমণে তিনে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনার শিকার ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৬২ হাজার ২৮৬ জনের।
চারে থাকা রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ১৭ লাখ ৫৪ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ হাজার ২৫১ জন।
ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনা হানা দিয়েছে প্রায় ১৭ লাখ ৪৮ হাজার মানুষের দেহে। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৪০ হাজার ১৬৯ জনের।
ছয়ে থাকা স্পেনে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৩ লাখ ৮৮ হাজারের অধিক। প্রাণহানি ঘটেছে ৩৮ হাজার ৮৩৩ জনের।
দ্বিতীয় তরঙ্গে মহামারি গতি বাড়ছে যুক্তরাজ্যে। প্রতি নয় দিনে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। এমতাবস্থায় নতুন করে চার সপ্তাহের লকডাউন চলছে সেখানে।
একইপথে ইউরোপের আরেক দেশ ইতালি। দ্বিতীয় দফায় ক্রমেই করোনা ভয়াবহ রূপ নেয়ায় শুক্রবার (৬ নভেম্বর) থেকে সেখানে লকডাউন জারি হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ লাখ ২ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ৪১ হাজার ৬৩ জনের। সুস্থতা লাভ করেছেন এক-তৃতীয়াংশ রোগী।
এদিকে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গতকাল শনিবার পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ১৮ হাজার ৭৬৪ জন মানুষ। এর মধ্যে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬৮ জন সুস্থতা লাভ করলেও প্রাণহানি ঘটেছে ৬ হাজার ৪৯ জনের।
এআই/ এসএ/