ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৫ মে ২০২৫

কর্ণফুলীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা নেই

প্রকাশিত : ২৩:৩২, ১৫ এপ্রিল ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

কর্ণফুলী নদীর তীরে থাকা কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের স্থাপনা উচ্ছেদের বিরুদ্ধে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে জেলা প্রশাসনের জরিপে ওই প্রতিষ্ঠানের যতটুকু অংশ নদীর তীরের অংশে পড়েছে, ততটকু স্থাপনা উচ্ছেদে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি রিট দায়ের করা হয়েছিল। ওই রিটের প্রেক্ষিতে একটি জরিপ প্রতিবেদন দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। সেখানে প্রায় ২১শ’ অবৈধ স্থাপনা ছিল। এরপর ২০১৬ সালে দেয়া একটি রায়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ওই রায়ের প্রেক্ষিতেই গত ৪ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। তবে গত ৬ ফেব্রুয়ারি কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করলে আদালত অভিযান স্থগিতাদেশ দেন।

এরপর সোমবার তাদের ওই আবেদনটি আপিল বিভাগে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের আবেদন ডিসমিস (খারিজ) করে দিয়েছেন। ফলে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের যতটুকু অংশ নদীর জায়গার অংশে পড়েছে, সেটুকু ভাঙ্গতে আর কোনো বাধা নেই।

এর আগে গত ৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা অবিলম্বে উচ্ছেদে বন্দর চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেসময় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল।

ওইদিন আদেশের পরে আবেদনকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এইচআরপিবির (হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ) পক্ষে আমরা আজকে একটা আবেদন করেছিলাম। শুনানিতে আমরা আবেদন করেছিলাম, আগের আদেশে ডেপুটি কমিশনারসহ আরও পাঁচজনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য। এখন যে জায়গাগুলোতে অবৈধ স্থাপনা রয়েছে, সে জায়গাগুলো মূলত বন্দরের অধীনে। এজন্য আমরা একটি নির্দেশ প্রার্থনা করেছিলাম, বন্দরের চেয়ারম্যান যেন এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

তিনি বলেন, শুনানি শেষে বন্দরের চেয়ারম্যান ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সার্ভে রিপোর্ট ওআরএস অনুসারে, ইতোপূর্বে ২০১৬ সালের ১৬ আগস্টে দেয়া আদেশ অনুসারে এগুলো উচ্ছেদ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন। পাশাপাশি আদালত এ বিষয়ে ১৯ মে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন বলে জানান মনজিল মোরসেদ।

২০১০ সালে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখল সংক্রান্ত মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করা হয়। রিটের পর আদালত রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের আদালত রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সম্প্রতি ওই রায় অনুসারেই উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছিলো। তবে কয়েকদিন চলার পর তা বন্ধ হয়ে যায়।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি