ঢাকা, শুক্রবার   ০৯ মে ২০২৫

কুকুরের সুসাইড স্পট!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৯, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

চারদিকে মনোরম দৃশ্য সংবলিত ব্রিজ। নিচ দিয়ে অবিরত বইছে ঝর্ণাধারা। সবুজের সমারোহে এলাকাটি দর্শনার্থীদের কাছে খুব জনপ্রিয়। তবে এর পরও ওই ব্রিজের কাছে যেতে ভয় পান স্কটল্যান্ডের দর্শনার্থীরা। পোষা কুকুরপ্রিয় স্কটল্যান্ড জাতি নাকি ওই এলাকায় কুকুর নিয়ে ঘুরতে গেলেই প্রিয় কুকুরটি আত্মহত্যা করে।

দেশটির ডাম্বারটন শহরে ১৫০ বছর আগে নির্মাণ করা হয় ‌`ওভারটন ব্রিজ`। এই সেতু ঘিরেই ঘনিয়েছে রহস্য। ক্লাইডে নদীর উত্তর দিকে অবস্থিত এই শহরটি। ক্লাইডের শাখা নদীটি লেভেন। তার উপরেই রয়েছে এই সেতু। ১৮৯৫ সালে তৈরি সেতুটিকে `ডগ সুইসাইডাল ব্রিজ` নামে ডাকা শুরু হয় নির্মাণ সময় থেকেই।

বেসরকারি মতে, ৬০০০ আর সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৬টি কুকুর এই সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়েছে নিচে, অল্প পানিতে পাথুরে জমিতে পড়ে মৃত্যু হয়েছে প্রতিটি সারমেয়রই। ১৯৫০ এর দশকেই নাকি ৬০০টি কুকুর ঝাঁপ দিয়েছিল এই সেতু থেকে। শোনা যায়, এই সেতুর আশপাশে ঘোরাফেরা করলেই নাকি যেকোনও কুকুর অদ্ভুত আচরণ করতে থাকে। কারও মতে, শুধুমাত্র হতাশায় ভোগা কুকুরদের ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটে।


প্রাণীবিদ ও মনোস্তত্ত্ববিদদের অনেকে এই স্থানে এসে এরপর অনুসন্ধান শুরু করেন। ডেভিড স্যান্ড নামে ল্যাঙ্কাশায়ারের এক প্রাণীবিদের দাবি, সেতুর দু’পাশে রয়েছে মাঝারি উচ্চতার দেওয়াল, তাই তারা বুঝতেই পারে না, সেতুর নীচে কী রয়েছে। আর সেই বিভ্রান্তি থেকেই ঝাঁপ দেয় কুকুরগুলো।

এক প্রাণীবিদ বলেন, রোদ থাকলে এই অঞ্চলে বেজি ও ইঁদুরজাতীয় প্রাণীর গন্ধ অনেক বেশি বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। আর গন্ধ শুঁকেই নাকি ঝাঁপ দেয় কুকুরগুলো। কিন্তু সারা স্কটল্যান্ডে ২৬ হাজারের মতো এই প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। তা হলে শুধু এখানেই কেন? এই প্রশ্ন রয়েই গেছে।

রোদ ঝলমল দিনগুলোতেই মূলত এই কুকুরগুলির ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনা নাকি ঘটেছে। যার ফলে প্রাণীবিদদের এই দাবিই অনেক বেশি জোরাল বলে মনে হচ্ছে। যদিও স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় অত সংখ্যক বেজি নাকি নেই।স্থানীয়দের অবশ্য দাবি, এই সেতু ভূতুড়ে। সেতুটির পাশেই রয়েছে ওভারটোন হাউস। স্থানীয়দের দাবি, সেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলের প্রেতাত্মাদের দেখা পেয়েই নাকি কুকুরগুলো ঝাঁপ দেয়! স্বাভাবিকভাবেই এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

এমজে/

 

 

 

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি