কয়রায় টানা বর্ষণে ঝুঁকিতে দুর্বল বাঁধ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:১১, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারছে না খুলনার কয়রাবাসী। টানা বর্ষণে উপকূলজুড়ে দেখা দিয়েছে উঁচু জোয়ার। এর ফলে একের পর এক ভাঙ্গছে দুর্বল বাঁধগুলো। আর দেখা দিয়েছে বন্যাও। তলিয়ে গেছে ক্ষেতের ফসল, ভেসে গেছে ঘেরের মাছ। শিগগির বাঁধ নির্মাণ না হলে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে কয়রায়।
আইলা, বুলবুল ও আম্পানের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত কয়রা বাঁধ। সুপারসাইক্লোন আম্পানের পরবর্তী সময়ে ২০টি বেড়িবাধ মেরামত করা হলেও কয়েকদিনের প্রবল জোয়ারের পানিতে সেই বাঁধগুলো ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন এলাকা।
কয়রা সদর ইউনিয়নের ৩, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের গাজীপাড়া, শেখ-সরদারপাড়া, বড়বাড়ি, কাছারিবাড়ি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। আর ভাঙন আটকাতে না পারলে বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাবার শঙ্কায় রয়েছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীরা বলেন, ভিটেমাটিও নাই কোন রকমে এই রাস্তার উপর বালবাচ্চা নিয়ে আছি। এই বাঁধটা হলে সবাই একটু বিপদমুক্ত হবে। জোয়ারের পানিতে এলাকা তলিয়ে যায়। একটা লোক মারা গেলে মাটি দেওয়ার সেরকমের কোন জায়গা নেই।
জোয়ারের চাপ ও স্রোতের চাপ না কমলে বাঁধের কাজ করা যাবে না। পাওবো বলছে টেকসই বেড়িবাধের জন্য ১০০ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার।
বাপাউবো (খুলনা) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: আবুল হোসেন বলেন, জনগণের একটাই স্লোগান ছিল- আমরা ত্রাণ চাই না, বাঁধ চাই। সেই বিবেচনায় আমরা কিন্তু বাঁধের পরিকল্পনা করতেছি।
উক্ত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের খাদ্য ও সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করছে জেলা প্রশাসন। কয়রায় নুতন বাঁধের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বললেন জেলা প্রশাসক।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যে সরকার আমাদের থেকে তথ্য নিয়েছেন। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ডিসেম্বর নাগাদ কাজ শুরু হবে বলে জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য।
খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, এই ফ্লোডারে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা প্রি-একনেকে ইতিমধ্যে পাস হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে উপকূলে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের।
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন