ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

খাবারের ভালোবাসা

প্রকাশিত : ২২:০২, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২১:০৭, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বারো মাসে তোরো পার্বনের দেশ বাংলাদেশ। জাঁকজমক আয়োজনে উৎসবে মেতে ওঠে সবাই। এসব উৎসবের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে লেগে আছে খাবারের নানা আয়োজন। তবে একসময় ঘরের খাবার প্রধান্য পেলেও এখন হোটেল-রেষ্টুরেন্টের খাবারে আগ্রহ বেড়েছে সবার। এসব জায়গায় উৎসবে চলে আড্ডা আর নানা পদের খাবার গলাধকরণ। বলা যায়, উৎসব বিনোদনের এখন আরেক নাম খাদ্য গ্রহণ! তবে সবকিছুর পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার প্রতি খেয়াল রাখাটাও ভালোবাসার অংশ। বাইরে খাওয়া-দাওয়ার সময়ও থাকুন স্বাস্থ্য সচেতন। স্বাস্থ্যহানি বা অসুস্থতা যেন জীবন উপভোগের একটা দিনেও বাধা না হয়ে দাঁড়ায়।


স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের মতে, বাইরে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখা জরুরী-তা হচ্ছে

    অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত খাবার সকালের কোনো আয়োজনে খেতে পারেন। দুপুরে কিছুটা হালকা আর রাতে খেতে হবে কম ক্যালরী যুক্ত খাবার। সকালে বেশি ক্যালোরির খাবার আপনাকে সারাদিন শক্তি যোগাবে, ক্যালরী খরচের কারনে বাড়বে না ওজন। তবে রাতে বেশি খাওয়ার ধারাবাহিকতায় পোলাও, বিরিয়ানী কিম্বা টিনএজদের পছন্দের বার্গার-পিৎজ্জা আপনাকে ভোগাতে পারে বেশ। যদি আইটেমে এসব-ই থাকে তবে প্রাধান্য দিন সালাদ আর স্যুপকে।


    যথা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে চিনিযুক্ত খাবার। কোমল পানীয়র পরিবর্তে যেকোনো আয়োজনে পান করতে পারেন ফ্রেশ জুস, কিম্বা মিনারেল ওয়াটার।


    হুজুগে কিম্বা বন্ধুদের পাল­ায় পড়ে কিম্বা আড্ডাতে রাস্তার খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এসব খাবারে প্রচুর জীবাণু থাকে যা আপনার অসুস্থতার কারণ হতে পারে।


প্রিয় মানুষকে নিয়ে বাইরে ঘোরাঘুরি, কিছুটা সময় কাটানো আর বাইরে খাওয়া-দাওয়ার পূর্ণতা আসুক সচেতনতার মধ্য দিয়ে। যত্ন আর সুস্থতার ছোঁয়া থাকুক প্রতিটি দিন।

লেখক: সাংবাদিক, একুশে টেলিভিশন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি