ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

খালেদা জিয়ার যাবজ্জীবন সাজা চায় দুদক, আদেশ কাল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫১, ২৩ অক্টোবর ২০১৮

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যাবজ্জীবন সাজা চেয়ে মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং রাষ্ট্রপক্ষ। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানিতে অংশ নিয়ে এ দণ্ড চেয়েছেন। আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি হয়।

শুনানির একপর্যায়ে আদালত বর্জন করেন তাঁর আইনজীবীরা। অর্থের উৎসের বিষয়ে পরিষ্কার হওয়ার জন্য অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ চেয়ে করা আবেদন গ্রহণ না করায় আদালত বর্জন করেছেন তাঁরা। এরপর আদালত তাঁদের অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেন।

একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষে ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে এ মামলায় শুনানি শেষ হয়েছে। আগামীকাল এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য রাখা হয়েছে।

বেলা ১১টার দিকে শুনানির একপর্যায়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সোমবার মামলার অর্থের উৎসের বিষয়ে আপনারা যে আদেশ দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাব।’

জবাবে আদালত বলেন, ‘আপনারা আপিল বিভাগে যেতে পারেন।’ এরপর এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেন।’ জবাবে আদালত বলেন, ‘মুলতবির আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হলো।’

এ সময় এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে আমরা শুনানিতে অংশগ্রহণ করছি না। আমরা শুনানি থেকে বিরত থাকছি।’ এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালত থেকে বেরিয়ে আসেন।

এরপর আদালত বলেন, ৩১ অক্টোবর আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশনা রয়েছে। এর মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে হবে। এরপর তাঁদের অতিরিক্ত সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

এ সময় এ জে মোহাম্মদ আলী ছাড়াও জয়নুল আবেদীন, আবদুর রেজাক খান, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, আমিনুল ইসলাম, এ এইচ এম কামরুজ্জামান, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, মো. আখতারুজ্জামান, মো. ফারুক হোসেনসহ খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালত থেকে বেরিয়ে আসেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। পরে ওই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া ও রাষ্ট্রপক্ষ।

রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি