ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

খালেদার দুই মামলার সাজা আলাদাভাবে কার্যকর হবে: দুদকের আইনজীবী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১০, ২৯ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১৩:৩৫, ২৯ অক্টোবর ২০১৮

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট্রের পর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায়ও দণ্ডিত হলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুই মামলার সাজা আলাদাভাবে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

আজ সোমবার দুপুরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৪ আসামির ৭ বছরের সাজা দেন আদালত। রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, দুই মামলায় খালেদা জিয়া ১২ বছর দণ্ডিত হলেন। দুটি মামলার রায় আলাদাভাবে কার্যকর হবে। যেহেতু তিনি একটি মামলায় জেল খাটছেন এটি শেষ হলে অন্যটি কার্যকর হবে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৪ আসামির ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। সেই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাস জেল দিয়েছেন আদালত। রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৫ নম্বর অস্থায়ী বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালত আজ সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে এ রায় দেন।

আরো পড়ুন : খালেদাসহ ৪ আসামির ৭ বছরের জেল

এ মামলায় আরো ৩ আসামির ৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। তারা হলেন-খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান। তাদের প্রত্যেকের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের ৪২ কাটা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে সকাল খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই মামলার বিচারকাজ শুরু করেন আদালত। বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬ মামলার মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয় মামলার রায় ঘোষণা করা হলো। রায় ঘোষণা কেন্দ্র করে কারাগার থেকে আসামি মনিরুল ইসলাম খান ও জিয়াউল ইসলাম মুন্নাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি আদালতে আসেননি। অপর আসামি হারিছ চৌধুরী পলাতক।

গত ১৬ অক্টোবর রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় পুরনো বিশেষ জজ আদালতে প্রবেশ করার সময় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে আসামি পক্ষের আবেদন খারিজ হওয়ায় রায় হতে আইনগত কোনো বাধা নেই।

তিনি আরও বলেন, কারাগারে থাকাবস্থায় চ্যারিটেবল মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় ৯ মাসে তিনি একবার আদালতে এসেছেন। তিনি মামলার শুনানিতে আসবেন না বলে একাধিকবার বলেছেন যা জেল কাস্টডিতে লেখা আছে। আসামি পক্ষের আইনজীবীদের সময় দেওয়ার পরেও যুক্তিতর্কে উপস্থিত হননি। এজন্য বিচারক এ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

এদিকে বেলা ১১টায় আদালতে এসেছেন অস্থায়ী ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের দেখা গেলেও আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবীকে দেখা যায়নি।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এদের মধ্যে হারিছ চৌধুরি পলাতক। খালেদা জিয়াসহ তিনজন গ্রেফতার রয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। একই মামলায় খালেদার ছেলে তারেক রহমানের ১০ বছর কারাদণ্ড হয়। ওই মামলায় গত ৮ এপ্রিল থেকে কারাবন্দী খালেদা জিয়া।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি