ঢাকা, বুধবার   ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

চুরির অভিযোগের জেরে মা–মেয়েকে হত্যা করে গৃহকর্মী আয়েশা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৫১, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গৃহকর্মী আয়েশা জানিয়েছে, চুরির অভিযোগে অপমানিত হওয়ায় সে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা–মেয়েকে হত্যা করে।

এর আগে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার চরকয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে আয়েশা ও তার স্বামী রাব্বি শিকদারকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা স্বীকার করেছে যে চুরির অভিযোগে অপমানিত হওয়ার ক্ষোভ থেকেই সে লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) হত্যা করে।

গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে ১৪ তলা ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ ও তার মেয়েকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে— লায়লার শরীরে প্রায় ৩০টি ও নাফিসার শরীরে ৪টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

তবে তদন্ত–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঘটনার দিন বাসার জিনিসপত্র নিয়ে বের হওয়ার সময় আয়েশা গৃহকর্ত্রী লায়লা আফরোজের হাতে ধরা পড়ে যায়। লায়লা তাকে আটকে রেখে পুলিশে ফোন করতে চাইলে আয়েশা ঘরে থাকা ছুরি নিয়ে একাধিকবার আঘাত করে তাকে হত্যা করে।

মায়ের আর্তচিৎকার শুনে নাফিসা দৌড়ে ড্রয়িংরুমে এলে তাকেও লক্ষ্য করে ছুরি চালায় আয়েশা। নাফিসা মূহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সে দ্রুত স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যায়।

গ্রেপ্তারের সময় আয়েশার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল ফোন এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি।

মোহাম্মদপুর জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আয়েশার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। ঘটনার পর সে নলছিটির দাদা–শ্বশুরের বাড়িতে লুকিয়ে ছিল। তাকে ঢাকায় এনে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বিচ্ছিন্ন এই দ্বৈত হত্যাকাণ্ড স্থানীয় এলাকাবাসীসহ সারাদেশে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

এমআর// 


 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি