‘চূড়ান্ত আপিলে খালাস না পেলে নির্বাচনের সুযোগ নেই খালেদার’
প্রকাশিত : ১৫:৩১, ২৭ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৫:৪৫, ২৭ নভেম্বর ২০১৮

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান বলছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সর্বোচ্চ আদালত থেকে সম্পূর্ণ খালাস না হলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।
আজ মঙ্গলবার বিচারিক আদালতে দুই বছরের বেশি সাজা হলে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না হাইকোর্ট দেওয়া এমন আদেশের পর দুদকের আইনজীবী সাংবাদিকদের একথা জানান।
হাইকোর্টের এমন পর্যবেক্ষণের পর, মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) দুদকের আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিচারিক আদালতে কারও বিরুদ্ধে দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। যতক্ষণ না, আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল বা স্থগিত করে জামিন না দেয়।
এর আগে দুর্নীতির দায়ে বিচারকি আদালতের দেওয়া দণ্ড ও সাজা (কনভিকশন অ্যান্ড সেন্টেন্সড) স্থগিত চেয়ে করা পাঁচ বিএনপি নেতার আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট।
আদেশের পরে দুদকের এ আইনজীবী বলেন, ‘আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় পাঁচটি দরখাস্তের শুনানি হয়েছে। ওইসব দরখাস্তের মূল বিবেচ্য বিষয় ছিল সেনটেন্সড সাসপেন্ড করার। সেটা গত দুদিন শুনানি হয়েছে। আজকে আদালত আদেশ দিয়ে আবেদনগুলো খারিজ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মূলত একটাই কারণ, সেটা হলো সংবিধানের ৬৬(২)-এর (ঘ) ধারায় যে বিধান দেওয়া আছে আদালত বলেছেন যে, এটা সুপ্রিম ল অব দ্য কান্ট্রি। কাজেই ফৌজদারি কার্যবিধিতে কনভিকশন স্টে করার কোনো বিধান নাই। সাসপেন্ডের বিধান থাক আর না থাক, সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন হিসেবে প্রাধান্য পাবে।
এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আপিলে খালাস পেলেও নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। নিজ কার্যলয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নিতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্তির পরও ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উলাহ আমানসহ ৫ নেতার দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে করা আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের নেতা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূঁইয়া, ঝিনাইদহ-২ এর সাবেক সাংসদ ও ঝিনাইদহ বিএনপির সভাপতি আলহাজ মো. মশিউর রহমান এবং ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সাংসদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আব্দুল ওহাব।
টিআর/
আরও পড়ুন