জঙ্গি মাহফুজ সাত দিনের রিমান্ডে
প্রকাশিত : ১৬:৫৪, ৯ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৮:৩২, ৯ জুলাই ২০১৭

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে গ্রেফতার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পরিকল্পনাকারী নব্য জেএমবির কমান্ডার সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার মহানগর হাকিম এইচ এ এম তোয়াহা এই আদেশ দেন।
আজ রোববার হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক হুমায়ূন কবির আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালতে বলা হয়, আসামি সোহেল মাহফুজ নব্য জেএমবির সুরা সদস্য। তিনি হলি আর্টিজানে হামলায় অস্ত্রের জোগানদাতা। তামিম, মারজানসহ অন্যদের সঙ্গে তিনি এই হামলার পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য এই আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
আদালতে পুলিশের এই আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু। শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোহেল মাহফুজের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তিনিও আদালতে কোনো বক্তব্য দেননি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া সোহেল মাহফুজ ছিলেন নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরকের জোগানদাতা। তিনি হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পরিকল্পনা বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন। দুর্ধর্ষ এই জঙ্গি ভারতের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ মামলারও আসামি। তাকে ধরিয়ে দিতে ভারতের পুলিশ ২০১৪ সালে ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
তিন সহযোগীসহ সোহেল মাহফুজকে গত শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহেল মাহফুজকে গতকাল শনিবার ঢাকায় আনা হয়। তার বিষয়ে জানাতে গতকাল বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় জড়িত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজের নাম পায় পুলিশ। নব্য জেএমবির যে বৈঠকে হলি আর্টিজানে হামলার পরিকল্পনা করা হয়, তাতে এই মাহফুজও উপস্থিত ছিলেন।
মনিরুল ইসলাম গতকাল বলেন, ২০১৪ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড়ে একটি জঙ্গি আস্তানায় বিস্ফোরণ এবং দুজনের প্রাণহানির পর ভারতীয় পুলিশ সোহেল মাহফুজকে খুঁজতে শুরু করে। ভারতে তিনি নসরুল্লাহ নামে পরিচিত। ভারতীয় পুলিশ তখন তাকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করে। সে সময় সোহেল মাহফুজ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় চলে আসেন এবং নব্য জেএমবির সঙ্গে যুক্ত হন।
ডব্লিউএন
আরও পড়ুন