ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

‘জলবায়ু পরিবর্তন ও অনুপযুক্ত নগরায়নে ঝুঁকি বাড়ছে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৩৮, ২৬ নভেম্বর ২০১৭

জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগজনিত সমস্যা ও অযৌক্তিক নগরায়ন, শহরগুলোকে অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ করছে। এমন প্রেক্ষাপটে সমন্বিত উদ্যোগ না নিলে শহরের পরিবেশ আরও খারাপ হবে। রোববার বিকালে ঢাকার ইনিস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস্ বাংলাদেশ ভবনে একশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত “জলবায়ু সহনশীল নগর : বিকল্পের অনুসন্ধান” বিষয়ে এক অনুষ্ঠানে এমন কথা বলেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, গবেষক, সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা

অনুষ্ঠানের শুরুতেই একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির আলোচ্য বিষয়ে একটি ধারণাপত্র তুলে ধরেন। সেখানে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের নগরগুলোতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শুধু ২০১৭ সালে বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার সমস্যা ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন স্থানে এবং পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এই জলাবদ্ধতা ও অতিবৃষ্টির কারণে সাধারণ জনগণের, বিশেষ করে নারীদের ও শিশুদের চলাচল কষ্টকর ও অনিরাপদ হয়ে উঠছে। প্রয়োজনীয় সেবাগুলো, যেমন পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “শতকরা ৩৪ শতাংশ মানুষ নগরে বসবাস করে। গত ২০/২৫ বছরে নগরায়ন পরিকল্পিতভাবে হয়নি। যেখানে সেখানে ঘর-বাড়ি উঠে যাচ্ছে। আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় সমস্যা রয়েছে। একইসঙ্গে দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থার অভাব এবং ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা না করে তৈরি অযৌক্তিক ও অনুপযুক্ত নগরায়ন শহরের পরিস্থিতি খারাপ করছে। সঙ্গে যোগ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগজনিত সমস্যাগুলো।”

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বিভাগের উপ-প্রধান নুরুন নাহার বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শহরে মাইগ্রেশন বাড়ছে। একইসঙ্গে শহরে সুপেয় পানির ওপর প্রভাব পড়ছে। সঠিক পরিকল্পনা মাফিক কাজ না হলে শহর ব্যবস্থাপনা আমাদের জন্য কঠিন হবে। সমস্যা সমাধানে আমাদের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে আগাতে হবে।”
জলবায়ু পরির্তন ও নগরের ঝুঁকি বিষয়ে কথা বলেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আহসান হাবিব কামাল। তিনি বলেন, “আগে জলবায়ুর একটা সীমারেখা ছিল। কিন্তু এখন আর সেটা নেই। যেই সময়ে শীত থাকার কথা সেই সময়ে থাকছে না। আমাদের শহর জলবায়ুর জন্য ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।”
একশনএইড বাংলাদেশের ধারনাপত্রে বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণতা ইতিমধ্যে জলবায়ুর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করেছে, তার প্রভাবে গত দুই দশক ধরে বিশ্ব জুড়ে লাখ লাখ মানুষের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয়ের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে বিশ্বের সবচেয়ে “ঝুঁকিপূর্ণ” দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. সলিমুল হক বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন একটি সমস্যা। তার সঙ্গে যোগ হচ্ছে নগরায়নের বিষয়। এই সমস্যাগুলো সমাধানে সচেতনতা বাড়াতেই হবে। যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। গবেষকসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করতে হবে।”

জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি- বাংলাদেশের সহকারী কান্ট্রি ডিরেক্টর খুরশিদ আলম বলেন, “বাংলাদেশ সমস্যাগুলো খুঁজে বের করেছে। এখন সমন্বিতভাবে সমাধানে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন শহরের কর্তাদের বিশেষ করে মেয়রদের রাজনৈতিক ক্ষমতা ও সচেতনা বাড়াতে হবে। যাতে তারা সমস্যা সমাধানে সঠিক উদ্যোগ নিতে পারেন।”
অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তন ও নগরায়ন সমস্যা সমাধানে কিছু প্রস্তাব তুলে ধরে একশনইড বাংলাদেশ। বিজ্ঞপ্তি

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি