ঢাকা, বুধবার   ০১ মে ২০২৪

‘জাতীয় ঐক্যের নামে আদর্শচ্যুত নেতারা একত্র হয়েছেন’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৩৭, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৯:১৯, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ড. কামাল হোসেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ বিভিন্ন দলের সমন্বয়ে গঠিত ঐক্য জাতীয় ঐক্য নয়, ওটা জনপরিত্যক্ত আদর্শচ্যুত নেতাদের ঐক্য মাত্র বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি। তিনি বলেছেন, এটা জনগণের কোন ঐক্য নয়। এটা রাজনীতিতে পরিত্যাক্ত নেতাদের ঐক্য ছাড়া অন্য কোন কিছু নয়। ড. কামাল হোসেন জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতিতে পরিত্যক্ত। তিনি গণতন্ত্রের কথা বলেন কিন্তু তার নিজের দলেই কোন গণতন্ত্র নাই। গণফোরামের সম্মেলন কবে হয়েছে তাও তিনি বলতে পারবেন না। ১৮ বছর যাবত তিনি সম্মেলন ছাড়াই সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। আর বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দলের ও কখন সম্মেলন হয়েছে তা হয়ত উনার মনে নাই। প্রকৃতপক্ষে এই জোট হচ্ছে জনবিচ্ছিন্ন, ব্যক্তিসর্বস্ব, নামসর্বস্ব এবং রাজনীতিতে পরিত্যক্তদের একটি জোট। যাদের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নাই।

আজ সোমবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত `জাতীয় ঐক্যের নামে নির্বাচন নিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র` শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি এখন নেতা ভাড়া করছে মন্তব্য করে সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে এটি জাতীয় ঐক্য নয়। মুমূর্ষু বিএনপিকে রক্ষা করার জন্য তারা ড. কামাল হোসেন এবং বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ অনেক নেতাকে ভাড়া করেছে। সুতরাং বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক কার্যক্রমে বুঝা যাচ্ছে বিএনপি এখন ভাড়াকৃত নেতাদের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে। আর ড.কামাল হোসেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরীরা ভাড়ায় খাটবেন।

নির্বাচন অনুষ্টানের ক্ষেত্রে সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত, ইংল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো বাংলাদেশেও নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দ্বায়িত্ব পালন করবেন এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। সুতরাং নানা ধরণের ঐক্য করে কোন লাভ হবে না। সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না। আর ২০১৪ সালের চেয়ে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে এখন অনেক বেশি শক্তিশালী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাও এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। সুতরাং আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে কোন লাভ হবে না। নিজেরাই পরে যাবেন।

আওয়ামী লীগের সমস্ত পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনুরুধ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ সমস্ত ঐক্য করে কোন লাভ হবে না জেনেও উনারা দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করে গণ্ডগোল সৃষ্টি করতে চান। সুতরাং এদের বিরোদ্ধে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ও ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম মাসুদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কায়সার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, কুয়েত আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাদেক হোসেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত আওয়ামী লীগের সভাপতি আল মামুন সরকার, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ।

আআ// এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি