জাহাঙ্গীর কবির-তাসনিম জারার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নোটিশ
প্রকাশিত : ২১:৪৪, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ২১:৫৪, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকি সহ সব অনলাইন মাধ্যমে অশ্লীল ও পর্নোগ্রাফিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব এই নোটিশ পাঠান।
নোটিশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়ানো ও অনৈতিক প্রচারণা চালানো ব্যক্তিদের—যেমন ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির ও ডাক্তার তাসনিম জারার—বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
নোটিশটি মানবাধিকার সংগঠন ‘ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’ এবং সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী বায়েজিদ হোসেন ও নাঈম সরদারের পক্ষে পাঠানো হয়েছে। এতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, বিটিআরসি এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান অনুযায়ী অশ্লীল ছবি বা ভিডিও তৈরি, প্রচার ও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তার ফলে এসব অপরাধ ক্রমেই বাড়ছে।
নোটিশে বলা হয়, এসব অশ্লীল ভিডিও ও বিজ্ঞাপন পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। শিশু-কিশোররাও এসব কনটেন্টের প্রভাবে বিপথে যাচ্ছে। ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোন সহজলভ্য হওয়ায় এসব কনটেন্টে আসক্ত হয়ে পড়ছে কোমলমতি শিশুরাও।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও দেশীয় সিন্ডিকেট যৌথভাবে এসব মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে পাচার করছে। অনেক সেলিব্রেটি, মডেল ও ডাক্তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিউ বাড়াতে ও পণ্যের প্রচারে অশ্লীল উপস্থাপনার আশ্রয় নিচ্ছেন, যা সমাজে অশ্লীলতা বিস্তারে সহায়ক।
বিশেষভাবে ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও ডা. তাসনিম জারার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা যৌন উত্তেজক ওষুধের প্রচারে ভিডিও এবং বক্তব্যের মাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়াচ্ছেন।
নোটিশে বলা হয়, অনলাইন মাধ্যম একটি পাবলিক স্পেস হওয়ায় এসব অশ্লীলতা গণ-উপদ্রব হিসেবে গণ্য, যা দণ্ডবিধির ২৬৮ ধারা অনুযায়ী অপরাধ। এছাড়া ২৯২, ২৯৩ ও ২৯৪ ধারায় অশ্লীল উপাদান তৈরি, প্রচার ও প্রকাশ দণ্ডনীয় অপরাধ।
সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্র জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য। ২০০১ সালের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ীও একটি নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক।
নোটিশে অবিলম্বে অনলাইন মাধ্যমে অশ্লীলতা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন