ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় চায়া

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৫, ২৭ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৮:৪১, ২৮ মার্চ ২০১৮

চায়া এক ধরণের ওষুধী গাছ। ড. তপন কুমার দে তার ‘বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়া’ বইয়ে চায়ার ওষুধী গুণাগুণ তুলে ধরেছেন। একুশে টিভি অনলাইনে এর গুণাগুণ দেওয়া হলো-

ওষুধী ব্যবহার-

১) কষায় তিক্ত। কটুবিপাকে, উষ্ণবীর্য, অতিশয় মূত্রকর, বাতশ্লৈষ্মিক দোষনাশক ও অশ্মরী রোগের মহৌষধ।

২) প্রস্রাবে জ্বালা, প্রদাহ, জননেন্দ্রিয় টাটানি ও তলপেট ভারী হলে কাঁচা গাছ ২০ গ্রাম কুচি কুচি করে কেটে থেতলিয়ে তিন/চার কাপ পানিতে সেদ্ধ সেকে ঠাণ্ডা করে সকাল-বিকেল পান করলে উপকার পাওয়া যাবে।

৩) এছাড়া, গাছ সিদ্ধ পানি বা ক্বাথ মূত্রাশয় ও কিডনীতে পাথুরি জমলে অপসারিত হয়।

৪) ডায়াবেটিসের রোগীর রক্তে চিনি কমানোর জন্য ক্বাথ পানিসহ সেবনে উপকারী।

পরিচিতি : বর্ষজীবী বীরুৎ মাটিতে সামান্য গড়িয়ে বা শক্ত খাড়া হয়ে জন্মে। গোড়া কাঠের মতো শক্ত, শাকা তুলোর মতো লোমযুক্ত। বহু শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট ৩০-৪৫ সে.মি. লম্বা। এ গাছটি যখন ফুলে ফুলে ভরে ওঠে তখন দেখতে সত্যিই অপূর্ব লাগে। পাতা ছোট বোঁটাযুক্ত, প্রায় গোলাকৃতি বা ডিম্বাকৃতি, ধূসর-সাদা এবং নরম রোমাবৃত। ফুল সবুজাভ সাদা ছোট, পাতার কোলে কোলে যেন সাজানো মনে হয়। ফুল হালকা সুগন্ধ যাক্ত। ফল খুব ছোট, ডিম্বাকৃতি, ডগা বা শীর্ষ সূঁচের মতো সরু, বীজ কালো। বর্ষাকালে গাছ জন্মে।

কেএনইউ/ এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি