ঢাকা, শুক্রবার   ০৪ জুলাই ২০২৫

দুইয়ের বেশি সন্তান জন্ম দিলে হতে পারে অ্যালঝাইমার: গবেষণা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৯, ২৬ জুলাই ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

অ্যালঝাইমার মনোদৈহিক রোগ। ক্ষণে ক্ষণে গুরুত্বপূ্র্ণ কিছু ভুলে যাওয়া এর আলামত। নারীদের এই রোগ বেশি হয়ে থাকে। বিশেষ করে পাঁচ বা তার বেশি সন্তানের মায়েদের ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এটি পুরোনো তথ্য নতুন গবেষণা হচ্ছে দুই বা তার বেশি সন্তান ধারণ করলেই মায়েদের অ্যালঝাইমারের প্রবণতাকে বাড়িয়ে দেয়।

গবেষণাটি করেছেন সিওল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাদের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর দু’মাস কেটে গেলেই নারীদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা দ্বিগুণ হারে বেড়ে যায়। যা স্বাভাবিক সময়ে থাকা ইস্ট্রোজেনের মাত্রার থেকে ৪০ গুণ বেশি। এদিকে মাত্রাতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন ভুলে যাওয়ার প্রবণতাকে বাড়িয়ে দেয়। এর থেকেই অ্যালঝাইমার রোগের উৎপত্তি।

বার বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কারণেই এই রোগের সম্ভবনা বাড়ে কিনা তা দেখতে ৩ হাজার ৫৪৯ জন নারীর উপরে একটি সমীক্ষা চালান সিওল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। সমীক্ষায় যাঁরা অংশ নেন, তাঁদের বয়স ৭১-এর মধ্যে। ৪৬ বছর বয়স পর্যন্ত তাঁদের অসুস্থতার যাবতীয় মেডিক্যাল রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া প্রথম বাচ্চার জন্মের পর যদি কোনও চিকিৎসা হয়, তার রিপোর্টগুলিকেও এর আওতায় আনা হয়। এরপর বিশেষজ্ঞরা দেখেন, সন্তান জন্মের পর ওই নারীদের একাংশ হয় অ্যালঝাইমার রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বা কঠিন কোনও অসুখ তাঁদের শরীরে বাসা বেঁধেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে ৩,৫৪৯ জন নারীর  মধ্যে ১১৮জন অ্যালঝাইমারে আক্রান্ত হয়েছেন। একইভাবে ৮৯৬ জন মহিলা দূরারোগ্য রোগের কবলে পড়েছেন। গবেষকরা এও দেখেছেন পাঁচ নম্বর সন্তানের জন্মের পর ৭০ শতাংশ নারীই অ্যালঝাইমারে আক্রান্ত হয়েছেন।

অন্যদিকে দুটি সন্তানের জন্মের পরও সুস্থই রয়েছেন অনেক মা। পাশাপাশি নারীর সঙ্গে যদি মিস ক্যারেজের কোনও ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলেও থাবা বসাতে পারে অ্যালঝাইমার। এমনটাও দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, মিসক্যারেজের শিকার ২ হাজার ৩৭৫ জন নারীর মধ্যে ৪৭ জন অ্যালঝাইমারে আক্রান্ত। একইভাবে ১ হাজার ১৭১ জন স্বাভাবিক অন্তঃসত্ত্বা মহিলার মধ্যে ৭১ জন অ্যালঝাইমারে আক্রান্ত। তাই পরিবার পরিকল্পনার সময় এই ধরনের অসুস্থতাকে মাথায় রেখেই এগোতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি