ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৩ মে ২০২৫

নকল ওষুধ চেনার ৩ উপায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৭, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ০৮:৪৮, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

প্রত্যেকের বাড়িতেই প্রতি মাসে কিছু না কিছু ওষুধ কেনা হয়। অনেকের বাড়িতে এমন মানুষও আছেন, যাদের বেঁচে থাকাটা অনেকটাই ওষুধ নির্ভর। পাড়ার বা স্থানীয় ওষুধের দোকান বা অনলাইন থেকেও অনেকে নিয়মিত ওষুধপত্র কেনেন। কিন্তু আপনার কেনা বা বাড়িতে মজুত করা ওই সব ওষুধ নকল কি-না জানেন? ভাবছেন, চিকিত্সক বা ওষুধের কারবারীরা ছাড়া ‘খাঁটি’ ওষুধ আমার-আপনার মতো সাধারণ মানুষের পক্ষে চেনা সম্ভব! হ্যাঁ, চেনা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নকল ওষুধ চিনে নেওয়ার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘ডব্লিওএইচও’র পরামর্শ অনুযায়ী, নকল ওষুধ চেনার ক্ষেত্রে কয়েকটি উপায় জেনে নেওয়া যাক-

১) সিরাপ, টনিক বা ওই জাতীয় বোতলজাত ওষুধের ক্ষেত্রে ওষুধের বোতলে সিল বা প্যাকেজিং-এ কোথাও কোনও গলদ (মোড়কের রং, আকার-আকৃতি, বানান ইত্যাদি সবই দেখে নিতে হবে) আছে কি-না, প্রথমেই তা ভাল করে দেখে নিতে হবে। কোনও রকম পার্থক্য বা সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়লেই ওই ওষুধ ফিরিয়ে দিন বিক্রেতাকে।

২) বড়ি, ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল জাতীয় ওষুধের ক্ষেত্রে ওষুধের কোথাও কোনও অংশ ভাঙা রয়েছে কি-না, স্বচ্ছ ক্যাপসুলের ভিতরে থাকা ওষুধের গুঁড়ার পরিমাণ আগের তুলনায় কম বা বেশি আছে কি-না, ওষুধের রঙে কোনও ফারাক রয়েছে কি-না তা ভাল করে দেখে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রেও ওষুধের মোড়কের রং, আকার-আকৃতি, বানান ইত্যাদি সবই ভাল করে দেখে নিতে হবে।

৩) যে কোনও ওষুধের মোড়কের গায়ে তার ‘ইউনিক অথেনটিকেশন কোড’ লেখা থাকে। ওষুধ কেনার পর সেটির সম্পর্কে মনে কোনও রকম সন্দেহ দানা বাঁধলে, ওষুধের ‘ইউনিক অথেনটিকেশন কোড’ ৯৯০১০৯৯০১০ নম্বরে এসএমএস করুন। ওই ওষুধটি যেখানে তৈরি, সেখান থেকে আপনি একটি অথেনটিকেশন মেসেজ পেয়ে যাবেন।

এ ছাড়াও, ওষুধ খাওয়ার পর যদি শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়, অ্যালার্জি হলে একটুও দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রয়োজনে সেই ওষুধটি চিকিত্সককে দেখান।

সূত্র: জিনিউজ

একে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি