ঢাকা, শনিবার   ০২ আগস্ট ২০২৫

নাহিদের শেল্টারে ছিল চাঁদাবাজির ঘটনায় আটক রিয়াদ: জুলকারনাইন সায়ের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৮, ১ আগস্ট ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

সম্প্রতি গুলশানে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এক এমপির বাসায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ।  জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের শেল্টারে রিয়াদ ছিল এবং এ বিষয়টি জানতেন বলে দাবি করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ দাবি করেন সায়ের। সেখানে জুড়ে দেন ৫টা প্রশ্নও। 

একুশে টেলিভিশনের অনলাইন পাঠকের জন্য জুলকারনাইন সায়েরের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-

'কিছু প্রশ্ন: 

১. বিপ্লবের আগে ছাত্রশক্তির ঢাবি'তে লোকবল কত ছিলো? 
২. দেশের অন্য কোন-কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কমিটি ছিল?
৩. বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের নাহিদ ইসলাম ৫ ই আগস্টের পূর্বে চিনতো কিনা ? 
৪. কেবল মাত্র ছাত্র শক্তির বিপ্লব সংগঠিত করার মতো সাংগঠনিক কাঠামো ছিলো কিনা ? 
৫. গুটিকয়েক সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী না জানালে সাদেক কায়েমের অবদানের কথা নাহিদ ইসলামরা জাতিকে জানাতেন কি না ?


পুনশ্চঃ নাহিদ ইসলাম, আপনার অবগতির জন্যে জানাচ্ছি, আমি বৈষম্য বিরোধী চাঁদাবাজ রিয়াদকে কোনো রকমের সার্ভেলেন্সে রাখি নাই। আর সে চাঁদা আনতে গিয়ে যে সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেটা লাগানোতেও আমার কোন ভূমিকা নাই। 

রিয়াদ যে আপনার শেল্টারে ছিল সেটা আমি জানতাম। পরে জানতে পারলাম, আপনার ও আপনার বাবার সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথা। আপনি আমার উপর ক্ষেপে গেছেন কারণ আপনাকে মিথ্যা তথ্য দেয়া হয়েছে যে রিয়াদকে ধরিয়ে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নাকি আমার। 

আমি দৃঢ়ভাবে আপনাকে জানিয়ে দিতে চাই যে, চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেফতার রিয়াদকে পাকড়াও করার ঘটনায আমার কোন হাত নাই।'

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে নাহিদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের প্রসঙ্গ টানেন। পোস্টে নাহিদ লিখেছেন, ‘২ আগস্ট ২০২৪ রাতে জুলকারনাইন সায়েররা একটা আর্মি ক্যু করে সামরিক বাহিনীর এক অংশের হাতে ক্ষমতা দিতে চেয়েছিল। এ উদ্দেশ্য কথিত সেফ হাউজে থাকা ছাত্র সমন্বয়কদের চাপ প্রয়োগ করা হয়, থ্রেট করা হয় যাতে সে রাতে ফেসবুকে তারা সরকার পতনের একদফা ঘোষণা করে আর আমাদের সঙ্গে যাতে আর কোনো যোগাযোগ না রাখে। সায়ের গং ৫ আগস্টের পর বারবার চেষ্টা করেছে আমাদের বিরুদ্ধে পাল্টা নেতৃত্ব দাঁড় করাতে। সেক্ষেত্রে সাদিক কায়েমদের ব্যবহার করেছে এবং তারা ব্যবহৃতও হয়েছে। সায়ের গংদের এ চেষ্টা অব্যাহত আছে। কল রেকর্ড ফাঁস, সার্ভাইলেন্স, চরিত্রহনন, অপপ্রচার, প্রোপাগান্ডা হেন কোনো কাজ নাই হচ্ছে না। বাংলাদেশে সিটিং মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে যত অপপ্রচার হচ্ছে এ দেশের ইতিহাসে এরকম কখনো হইছে কিনা- জানা নাই। কিন্তু মিথ্যার ওপর দিয়ে বেশিদিন টিকা যায় না। এরাও টিকবে না।’

এসএস//
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি