ঢাকা, শনিবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন বাবুল আক্তার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৫১, ১১ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৪:৩১, ১২ জুলাই ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে হত্যার যে অভিযোগ করেছিলেন তার শ্বশুর তা অস্বীকার করেছেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। মঙ্গলবার মিতু হত্যার তদন্তকারী কর্মকর্তা

স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. কামরুজ্জামানের ডাকে মামলার ব্যাপারে কথা বলতে চট্টগ্রাম আসেন বাবুল আক্তার।

মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে নগরীর লালদীঘি এলাকায় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কার্যালয়ের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হাজির হন বাবুল আক্তার। চার ঘণ্টারও বেশি সময় কথা বলার পর চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয় থেকে বাবুল আক্তার বের হন  রাত ৮টায়।

বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা। গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে বাবুল আক্তার বলেন, মামলার বাদী হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তা তার বক্তব্য জানতে চেয়েছেন। তিনি নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন।

যেহেতু মিতু হত্যার ব্যাপারে তার বাবা-মা বাবুল আক্তারকেই অভিযুক্ত করছেন সেহেতু এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে বাবুল বলেন, যে কেউ যে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতেই পারে। এসময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. কামরুজ্জামান বলেন, মামলার বাদী হিসেবে মামলার স্বার্থেই বাবুল আক্তারকে তলব করা হয়। শিগগিরই এই মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে গত বছরের ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় বাবুলের স্ত্রী মিতুকে।

ওই সময় তিনি পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে সদর দপ্তরে যোগ দিয়ে ঢাকায় ছিলেন বাবুল। ঘটনা শুনে তিনি চট্টগ্রামে ফিরে হত্যাকাণ্ডের পরদিন নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এর বাইরে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করে।

বর্তমানে অস্ত্র আইনের মামলাটি আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। এ মামলায় কয়েকজন গ্রেপ্তার রয়েছে। তবে হত্যা মামলায় তদন্তে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি নেই।

স্ত্রী হত্যার পর থেকে ঢাকার রামপুরা বনশ্রীতে শ্বশুরবাড়িতে দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে থাকতে শুরু করেন বাবুল। ওই সময়ে তাকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে নানা গুঞ্জন ছড়ায়।

এর এক পর্যায়ে শ্বশুর বাড়ির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়ে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে আলাদা বাসায় ওঠেন বাবুল।

 

এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের চাকরি থেকে বাবুলকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন হয়। তাতে বলা হয়, বাবুল নিজেই চাকরি ছেড়েছেন।

এর আগে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে গত ২ জানুয়ারি চট্টগ্রামে আসেন বাবুল আক্তার।

ডব্লিউএন

 

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি