ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

পদ্মায় বিয়ের নৌকাডুবি: নারীর লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ৭

রাজশাহী প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১২:৫০, ৭ মার্চ ২০২০

রাজশাহীর পদ্মায় বিয়ের অনুষ্ঠানের নৌকা ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের খোঁজে উদ্ধার অভিযান চলছে। এতে দমকল বাহিনী ও বিজিবির উদ্ধার টিমের সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ’র একটি ডুবুরি দল যুক্ত হয়েছে। 

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর কনেসহ এখনো সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে তাদের পরিবারের বরাত দিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।  

জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, ‘রাতে ২২ জন নিখোঁজের কথা শোনা গিয়েছিল। তবে সকালে তাদের পরিবার জানায় আটজনকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের মধ্যে সকালে মনি খাতুন নামে এক নারীর লাশ পাওয়া গেছে। সকালে জেলার চারঘাটের পদ্মা থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে বিজিবি সদস্যরা। নিহতের বাড়ি পবা উপজেলার ডাইঙ্গেরহাট গ্রামে। তিনি কনের চাচি বলে জানা গেছে।’

তিনি বলেন, ‘নিখোঁজদের উদ্ধারে দমকল বাহিনী ও বিজিবি রাত থেকেই উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিআইডব্লিউটিএ’র একটি ডুবুরি দল। সকাল ১০টা থেকে তিনটি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।’

নৌকা ডুবির ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সকাল থেকে তদন্ত শুরু করেছে। নিহতের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। এছাড়াও আহতের চিকিৎসা ব্যয় সরকার বহন করবে বলেও জানান তিনি। 

এর আগে গতকাল শুক্রবার চরখিদিপুর এলাকায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে ৩৬ জন যাত্রী নিয়ে দুটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে এক শিশু মারা যায়।

বিয়ের অনুষ্ঠানের যাত্রী নিয়ে পবা উপজেলার খানপুর থেকে ডাইঙ্গেরহাট যাচ্ছিল নৌকা দুটি। রাতেই দমকল বাহিনী ও বিজিবি উদ্ধার অভিযান চালায়। খবর পেয়ে সিটি মেয়র ও রাজশাহী-৩ আসনের এমপিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।

নিখোঁজ কনের নাম সুইটি খাতুন পুর্ণি (২০)। তিনি পবা উপজেলার ডাইঙ্গেরহাট গ্রামের শাহীন আলীর মেয়ে। আর বরের নাম আসাদুজ্জামান রুমন (২৫)। তিনি চরখানপুরের মৃত ইনছার আলীর ছেলে। 

নিহত শিশুর নাম মরিয়ম (০৫)। সে বসুয়া এলাকার রতন আলীর মেয়ে। দুই মাস আগে তাদের রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। শুক্রবার বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে তারা ফিরছিল।

রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ জানিয়েছেন, ‘খানপুর এলাকায় বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে বর কনে নিয়ে পবা উপজেলার ডাইঙ্গেরহাট যাচ্ছিল। দুটি নৌকায় ৩৬ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ১৭ জন নারী ও ৬ জন শিশু। সন্ধ্যায় চরখিদিরপুর এলাকায় নৌকা দুটি ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়।’

এআই/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি