ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পাঁচ খুনিকে ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ (ভিডিও)

দীপু সারোয়ার

প্রকাশিত : ১০:৪৯, ১৪ আগস্ট ২০২১

বিদেশে পালিয়ে থাকায় জাতির পিতার পাঁচ খুনির ফাঁসির দণ্ড এখনো কার্যকর করা যায়নি। তবে পলাতক পাঁচ খুনিকে ফিরিয়ে আনতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করেছে সরকার। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের মধ্যে রাশেদ ও নূরের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়। ডালিম আছে কেনিয়ায়। আর রশিদ ও মোসলেমউদ্দিনের অবস্থান লিবিয়ার বেনগাজীতে। এই তিন খুনি ব্যবহার করছে পাকিস্তানি পাসপোর্ট।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের পাঁচ জন এখনও পলাতক। খুনিদের মধ্যে এ এম রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে এবং নূর চৌধুরী কানাডায় আছে। তাদের ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক যোগাযোগের পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপও নিয়েছে সরকার।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যে প্রক্রিয়াটা আমরা চালাচ্ছি সেটা সম্পর্কে আলাপ করাটাও কিন্তু তাদেরকে ফিরিয়ে আনার যে ব্যাপারটা সেটাকে ব্যর্থ করে দিতে পারে। সে জন্য বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।

অন্য তিন খুনির মধ্যে খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও রিসালদার মোসলেমউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানি পাসপোর্ট ব্যবহার করছে। এদের মধ্যে রশিদ ও মোসলেমউদ্দিনের অবস্থান লিবিয়ার বেনগাজিতে। আরেক খুনি শরিফুল হক ডালিমের অবস্থান কেনিয়ার নাইরোবিতে। 

রশিদ, মোসলেমউদ্দিন ও ডালিম পাকিস্তানি পাসপোর্ট ব্যবহার করায় দেখা দিয়েছে জটিলতা। 

১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ১৫ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন নিম্ন আদালত। উচ্চ আদালত ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি কার্যকর হয়।

আরেক খুনি আজিজ পাশা ২০০১ সালের জুনে জিম্বাবুয়েতে মারা যায়।

পলাতক খুনিদের মধ্যে আবদুল মাজেদকে গত বছরের ৬ এপ্রিল রাজধানীর গাবতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরেরই ১১ এপ্রিল রাতে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি