ঢাকা, রবিবার   ২৬ অক্টোবর ২০২৫

পুরান ঢাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে কলেজছাত্রের মরদেহ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৫, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

পুরান ঢাকার বংশাল এলাকার এক বাসার সিঁড়ি থেকে গলায় জিআই তার প্যাঁচানো অবস্থায় সজীব (১৯) নামে এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবার জানিয়েছে, তাকে ফোন কলে ডেকে নেওয়া হয়। ঘটনাটি প্রেমঘটিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে বংশালের আগামাসি লেনের একটি চারতলা ভবনের সিঁড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত সজীব স্থানীয় আহমেদ বাউনিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা দিয়েছিলেন।

নিহত সজিবের মা নূর নাহার বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলে সজিবের একই এলাকার খাদিজা নামের এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে ওই মেয়ে সজিবকে নানাভাবে দূরে ঠেলতে থাকে। আজকে খাদিজা তার মামার বাসায় ডেকে নিয়ে সজিবের গলায় ও হাতে জিআই তার পেঁচিয়ে মারপিট করে হত্যা করে। তারা আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যার সঠিক বিচার চাই।’

বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক জানান, স্থানীয়দের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে মরদেহটি অজ্ঞাত থাকলেও পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

তিনি আরও জানান, চারতলার সিঁড়িতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা মরদেহের গলায় জিআই তার প্যাঁচানো ছিল। যে ফ্ল্যাটে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে সেখানে একটি পরিবার বসবাস করতো, তবে বর্তমানে ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক ধারণা, সজীবকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

তবে নিহত সজীবের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম বলেন, সজীবের বাড়ি বংশালের আগামাসি লেনেই। এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর কিছুদিন আগে সে তাবলিগ জামাতে দোহারে গিয়েছিল এবং গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাসায় ফিরে আসে। শনিবার বিকোল ৩টার দিকে এক ফোনকল পেয়ে সে বাসা থেকে বের হয়। পরে বিকালেই পরিবারের কাছে খবর আসে যে, কাছের একটি বাসার সিঁড়িতে তার মরদেহ পাওয়া গেছে।

ইসলাম আরও বলেন, যে বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেটিই ছিল সজীবের প্রেমিকার পরিবারের বাসা। ঘটনার পর থেকে ওই পরিবারের কেউই এলাকায় নেই। প্রায় ছয় বছর ধরে মেয়েটির সঙ্গে সজীবের সম্পর্ক ছিল। মাঝখানে একবার মনোমালিন্য হলেও পরে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। তবে মেয়েটির মামারা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিল না। তারাই পরিকল্পিতভাবে সজীবকে হত্যা করেছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর আরমানিটোলার নুরবক্স রোডের রৌশান ভিলা নামের একটি পাঁচতলা ভবনের সিঁড়ি থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ভবনের একটি বাসায় মহানগর মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী বর্ষাকে পড়াতেন জোবায়েদ।  

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি