ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত হল ব্ল্যাক হোলের প্রথম ছবি

প্রকাশিত : ১৪:৫৪, ১২ এপ্রিল ২০১৯

প্রথমবারের মতো জোতিবিজ্ঞানীরা প্রকাশ করলেন ব্ল্যাক হোলে বা কৃষ্ণ গহ্ববরের আলোকচিত্র। আমাদের মহাবিশ্ব বোঝার ক্ষেত্রে ব্ল্যাক হোলের ছবি তুলতে পারাটা একটি মাইলফলক বলে বিবেচিত হচ্ছে।

ছবিতে দেখা যায় হলদে রঙের ধুলো ও গ্যাসের একটি চক্র প্রকাণ্ড ব্ল্যাকহোলটিকে ঘিরে আছে। মেসিয়ার ৮৭ ছায়াপথের মাঝখানে, পৃথিবী থেকে ৫ কোটি ৫০ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে এর অবস্থান। ব্ল্যাকহোলটি ৪ হাজার কোটি কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এবং আমাদের পৃথিবী থেকে ৩০ লক্ষ গুন বড়।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন (এনএসএফ) এক প্রেস কনফারেন্সে ব্ল্যাক হোলের প্রথম ছবি প্রকাশ করে। ওয়াশিংটন ডিসি, ব্রাসেলস, স্যানটিয়াগোম, সাংহাই, টাইপেই ও টোকিওতে একই যোগে এই প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এনএসএফ তাদের টুইটার পেজেও এই ছবি প্রকাশ করে।

ছবি তোলার কাজটি করেছে ইভেন্ট হরাইজন নামে এক প্রকল্পের টেলিস্কোপ (ইএইচটি)। যা বানানো হয়েছে পৃথিবীর ৮টি মহাদেশে বসানো অত্যন্ত শক্তিশালী ৮টি রেডিও টেলিস্কোপের নেটওয়ার্ক দিয়ে। সেই রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে ব্ল্যাক হোলের ছবি তোলা। এই কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে। দুই শ`রও বেশি বিজ্ঞানী এই গবেষণায় শ্রম দিয়েছেন।

ব্ল্যাকহোলকে একটি কসমিক ফাঁদ বলা যেতে পারে যেখান থেকে আলো অথবা কোনো পদার্থই বের হতে পারে না- ফলে ব্ল্যাক হোল দেখাও যায় না। তবে সাম্প্রতিক এই ছবি তোলার ঘটনাটি ইভেন্ট হরাইজন সম্পর্কে পদার্থ বিজ্ঞানের জানা অনেক নিয়মকেই যেন অতিক্রম করে গেল।

উল্লেখ্য, ব্লাক হোলের বাইরের পরিধিতে একটা সীমা কল্পনা করা হয়, যে সীমার মধ্যে এর মধ্যাকর্ষণ বল এত বেশি যে তার মুক্তি বেগ আলোর বেগের থেকেও বেশি। অর্থাৎ এই সীমায় আলো ঢুকলে তা কখনো বেড়িয়ে যেতে পারেনা। বিজ্ঞানীরা একে পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন বলে থাকেন, কারন এই সীমায় ঢোকার পর কোন কিছুর অবস্থা আর বাহিরের জগত পরিলক্ষণ করতে পারেনা। এই সীমাটিকে ইভেন্ট হরাইজন বলে।

ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপের ডিরেক্টর ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শেপার্ড ডোয়েলেম্যান বলেন, "ব্ল্যাক হোল মহাবিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় বস্তু। আমরা তা-ই দেখতে পেরেছি যাকে আমরা ভেবেছিলাম দেখা সম্ভবপর নয়। আমরা ব্ল্যাক হোলের ছবি তুলতে পেরেছি।"

ব্ল্যাক হোলের ছবিতে দেখা যায় এর চারপাশে ডোনাটের মতো করে গ্যাস ও ধুলা ঘিরে রয়েছে যা অটলভাবে এই দৈত্যকার বস্তুর `খাদ্য` যোগান দিচ্ছে।

 

টিআর/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি