ঢাকা, সোমবার   ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

ঢাকায় আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম

প্রকৌশল শিক্ষার মান নিশ্চিতে নতুন পদক্ষেপ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:২০, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৮:২১, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

প্রকৌশল শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে ঢাকায় শুরু হয়েছে “প্রকৌশল শিক্ষায় অ্যাক্রেডিটেশনের মাধ্যমে মান নিশ্চয়তা” শীর্ষক ৪র্থ আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম। 

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার গ্র্যান্ড বলরুমে দুই দিনব্যাপী (৮–৯ ডিসেম্বর) এই সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। 

সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজিত হয়েছে বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের মাধ্যমে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব আদিলুর রহমান খান। তিনি বলেন,“প্রকৌশল শিক্ষার মান নিশ্চিত করা টেকসই উন্নয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। এমন আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

প্রোগ্রামটি শুরু হয় বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস. রেজা চৌধুরীর স্বাগত বক্তৃতা দিয়ে। তিনি অ্যাক্রেডিটেশনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “আন্তর্জাতিক মানের নিশ্চয়তার জন্য অ্যাক্রেডিটেশন অপরিহার্য। শিক্ষার ধারাবাহিক উন্নয়ন, প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করেই আমরা বাংলাদেশে প্রকৌশল শিক্ষার মানকে আরও শক্তিশালী করতে পারব।”

সিম্পোজিয়ামে অংশ নেন আন্তর্জাতিক এবং দেশের স্বনামধন্য অতিথিরা, যার মধ্যে ছিলেন ওয়াশিংটন অ্যাকর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কাই সাং লক, সিডনি অ্যাকর্ডের ডেপুটি চেয়ার ও এবিইটি’র আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা ও গভর্ন্যান্স বিভাগের পরিচালক মিজ ড্যানিয়েলা ইয়াকোনা এবং আইইবি সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম।

প্রফেসর কাই সাং লক বলেন, “অ্যাকর্ডের পূর্ণ স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের অ্যাক্রেডিটেশনপ্রাপ্ত প্রকৌশল ডিগ্রিগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হবে। তবে এই স্বীকৃতি ধরে রাখতে হলে শিক্ষার মান ধারাবাহিকভাবে বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করে বাংলাদেশি প্রকৌশলীরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সফলভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবে।”

মিজ ড্যানিয়েলা ইয়াকোনা বলেন,“আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের এই উদ্যোগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুফল বয়ে আনবে।”

প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম বলেন, “আইইবি দীর্ঘদিন ধরে প্রকৌশল শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে আসছে। এই আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম আমাদের সেই প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করবে।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয় BAETE-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. তানভীর মনজুরের ধন্যবাদ জ্ঞাপন দিয়ে। তিনি বলেন,“এই সিম্পোজিয়ামের মূল লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রকৌশল শিক্ষা নিশ্চিত করা। এটি সেই লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।”

সংগঠকদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, সিম্পোজিয়ামে থাকবে কারিগরি সেশন, আলোচনা, গবেষণা উপস্থাপন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, যেখানে অংশ নেবেন দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা।

আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, এই অনুষ্ঠান বাংলাদেশের প্রকৌশল শিক্ষায় আন্তর্জাতিক মর্যাদা ও স্বীকৃতি আরও দৃঢ় করবে এবং মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি