ঢাকা, রবিবার   ২৬ মে ২০২৪

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প

প্রধানমন্ত্রী আজ দ্বিতীয় ইউনিটের মূল কাজ উদ্বোধন করবেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:১০, ১৪ জুলাই ২০১৮

গত বছরের ৩০ নভেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের আণবিক চুল্লির প্রথম পর্যায়ের কংক্রিট ঢালাই উদ্বোধনের আট মাসের মাথায় দ্বিতীয় কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ উদ্বোধন হচ্ছে আজ শনিবার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা সাড়ে ১১টায় এর উদ্বোধন করবেন। ৫৪ বছর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের এই প্রকল্প এখন বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী এদিন বিদ্যুৎকেন্দ্রে কংক্রিট ঢালাই ও ঈশ্বরদী-পাবনা-ঢালারচর রেলপথসহ ৪৯ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ পাবনাবাসীর মধ্যে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে স্বাগত জানাতে ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতিও নিয়েছেন সংশ্নিষ্টরা।
ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ, আলোকসজ্জায় পুরো জেলা সেজেছে নতুন সাজে। সংস্কার করা হয়েছে রাস্তাঘাট। দ্বিতীয় এ কংক্রিট ঢালাই উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা আশা করেছেন, ২০২২ সালে রূপপুর প্রকল্পের মাধ্যমে আলোকিত হবে বাংলাদেশ। সরকারের ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের আওতাধীন পাঁচ হাজার ৮৭ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। এক লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় বা শেষ পর্যায়ের কাজও শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল স্থাপনার ‘রি-অ্যাক্টর বিল্ডিং (উৎপাদন কেন্দ্র)’ নির্মাণ কাজের দ্বিতীয় পর্যায়ের ঢালাই কাজের উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী আজ আসছেন ঈশ্বরদীতে। বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্নের প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় বারের মতো আসছেন। এর আগে তিনি ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর এ প্রকল্প উদ্বোধন করেন। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেন।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, রি-অ্যাক্টর বসানোর কাজ শেষ হলে ২০২২ সালে প্রথমে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট এবং তার পরের বছর আরও এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে।
প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনী থাকায় এ প্রকল্পে দুর্ঘটনা ঘটার কোনো শঙ্কা নেই। যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটেও, তবে তাতে কোনো ক্ষতি হবে না। দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে গেলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্তের রেকর্ড অর্জনে সক্ষম হবে।
প্রকল্পের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ইউরিক মিখাইল খোসলেভ জানান, এ প্রকল্পের জন্য থ্রি প্লাস রি-অ্যাক্টর বসবে। যেটি বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ ও আধুনিক প্রযুক্তি, যা শুধু রাশিয়ার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে রয়েছে। আর বাংলাদেশের রূপপুরেই হবে এর দ্বিতীয় ব্যবহার।
প্রকল্পের অফিস সূত্র জানিয়েছে, আজ বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় কংক্রিট ঢালাই কাজের উদ্বোধন ও ফলক উন্মোচন করবেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেবেন রাশান ফেডারেশনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউরি ইভানোভিচ বোরিসভ, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন আইএইএর পরিচালক দোহি হান এবং স্বাগত বক্তব্য ও প্রকল্প পরিচিতি তুলে ধরবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন।
এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি