ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪

প্রভাত ফেরীর গানই ছড়িয়ে দিচ্ছে একুশের চেতনা (ভিডিও)

শাকেরা আরজু

প্রকাশিত : ১০:৩৯, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১১:০৪, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

তখন তিনি উনিশের যুবক। রক্তে রাঙা একুশ নিয়ে লিখলেন কবিতা। সেই কবিতায় বসলো সুর।  গাফফার চৌধুরীর কথা আর আলতাফ মাহমুদের সুর মিলেমিশে বাংলা ও বাঙালির জাগরণী গান- ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’। প্রভাত ফেরীর এই গানই প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিচ্ছে একুশের চেতনা।

১৯৫২ সালে গাফফার চৌধুরী ঢাকা কলেজের বিদায়ী ছাত্র। ভাষা আন্দোলনের উত্তাল দিন, বায়ান্নর একুশের সকালে দুই বন্ধুকে নিয়ে গিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। মেডিকেলের বারান্দায় শহীদ রফিকের খুলি উড়ে যাওয়া মরদেহ দেখে মনে হয়েছিলো নিজের ভাইয়ের রক্তে রাঙা লাশ।  

বিষণ্নতায় ভারী মন নিয়ে বেদনার উপলব্ধিতে লিখলেন ৩০ লাইনের কবিতাখানি। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’। ১৯৫৪ সালে কতিার প্রথম ৬ লাইনে সুর বসান শহীদ আলতাফ মাহমুদ। সেই থেকে প্রভাত ফেরীতে গাওয়া হয় গানটি।

ঊনসত্তরে জহির রায়হান ‘জীবন থেকে নেওয়া’ চলচ্চিত্রে গানটি ব্যবহার করেন। ঐতিহাসিক গানটি হিন্দি, মালয়, ইংরেজি, ফরাসি, সুইডিশ, জাপানিসহ ১২টি ভাষায় গাওয়া হয়।

বাঙালি মানসে একুশ মানেই ভাষাভিত্তিক একটি জাতি। তাই ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’- গানটি বাঙালি ভাষা-সংস্কৃতির জাগরণ। আর এই জাগরণের পথ ধরেই জাতি সত্ত্বার আন্দোলন। 

একুশের চেতনায় বাঙালিত্বের উন্মেষ, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মনে করিয়ে দেয় একুশের চেতনা।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি